সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:৫৫ pm
ভ্রাম্যমান প্রতিবেদক : রাজশাহীর তানোর উপজেলার বাধাঁইড় ইউপিতে এলজিএসপি প্রকল্পের বাইসাইকেল শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ না করে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে স্কুল ঘরে অযত্নে অবহেলায় ফেলে রাখার অভিযোগ উঠেছে। তবে, কত মাস থেকে সাইকেলগুলো এভাবে পড়ে আছে তা বলতে নারাজ স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা। তবে, দীর্ঘ সময় ধরে পড়ে থাকায় ধুলো বালি ময়লা আবর্জনায় পুরাতনের মত দেখাচ্ছে সাইকেলগুলো।। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বাঁধাইড় ইউপির বহরইল বরেন্দ্র স্কুল ঘরে সাইকেলগুলো এভাবে ফেলে রাখা হয়েছে। এতে করে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
শুধু শিক্ষার্থী নয়, শিক্ষক ও অভিভাবক মহলেও চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। ওই ইউপি চেয়ারম্যানের এমন কান্ডে সর্বত্রই বইছে সমালোচনা ঝড়।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বাধাইড় ইউপির বহরইল বরেন্দ্র স্কুলের অফিস কক্ষের সাথে লাগানো আরেকটি কক্ষে অন্তত ১৫/২০ টির মত বাইসাইকেল রয়েছে। সাইকেলগুলো অযত্নে অবহেলায় একটির উপর আরেকটি পড়ে আছে। কতদিন আগে থেকে পড়ে আছে তারও কোন সঠিক হিসেব নেই। আবার অনেক সাইকেলের টায়ারে হাওয়া বা পাম নেই। ছিট ঝুড়ি গুলোর রং আলাদা হয়ে গেছে।
এলজিএসপি প্রকল্প থেকে সাইকেলগুলো কিনে রেখেছেন বাধাইড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও অত্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান । তিনি শিক্ষার্থীদের মাঝে দিবেন বলে রেখেছেন। কিন্তু চেয়ারম্যান রহস্যজনক কারণে সেই সাইকেল বিতরণ না করে ফেলে রেখেছেন। কতদিন আগে থেকে ফেলে রাখা হয়েছে তাও কেউ বলতে সাহস পান নি। চরম অযত্নে অবহেলায় পড়ে রয়েছে।
প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, চেয়ারম্যান আতাউর রহমান এলজিএসপি প্রকল্প থেকে সাইকেলগুলো পেয়েছেন। কিন্তু বিতরণ না করে এভাবে ফেলে রাখা হয়েছে কিসের জন্য জানতে চাইলে তিনি জানান, চেয়ারম্যান এই স্কুলের সভাপতি হওয়ার পর বিতরণ করবেন। এজন্য রাখা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কমিটির অনুমোদন অল্পদিনের মধ্যেই হবে। তবে, কতদিন আগে দেওয়া হয়েছে এসব বিষয়ে কিছুই বলতে চান নি তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও অভিভাবকরা জানান, শিক্ষার্থীদের সাইকেল দেওয়া হবে অনেক আগে থেকেই শুনে আসছি। কিন্তু সাইকেল কেনার পর বিতরণ না করে ঘর বন্ধি রাখা মোটেও উচিত হয়নি। কারন এটি প্রকল্পের টাকায় কেনা। আর একজন চেয়ারম্যান প্রকল্প থেকে সাইকেল দিয়ে তিনি সভাপতি হলে বিতরণ করবেন তার আগে করবেন না। এটাতো বোকামি ছাড়া কিছুই নয়। চেয়ারম্যান প্রকল্পের টাকায় কিনে, তিনিই বিতরণ করবেন। তাকে সভাপতি হওয়ার পর বিতরণ করতে হবে এটা কেমন কথা।
তাহলে বুঝতে হবে এরমধ্যে কোন কিন্তু আছে। তিনি তো দু’বারের চেয়ারম্যান। তারমত ব্যক্তির এমন কাজ শোভা পায় না। এই স্কুলে কি এমন মধু আছে। এরআগে তার ভাই সভাপতি ছিলেন। এবার তিনি হবেন। শিক্ষার্থীরা জানান, সাইকেল বিতরণের জন্য শুধু তালিকা হয়। কয়েকবার তালিকা করা হয়। আর সংশোধন চলে। সরকারের দেয়া উপহার এসব সাইকেল দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য । আর সেটাও নিয়ে চলছে নানান কিছু। যা সরেজমিনে তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে নানান কিছু।
স্হানীয়রা জানান, এসব সাইকেলে কয়েক প্রকল্প দেখিয়ে আত্মসাৎ করা হবে। একটি সাইকেলের কত দাম ধরা হয়েছে সেটাও বলা মুশকিল। কেনা নিয়ে তো আছে অনিয়ম। আসলে ক্ষমতা থাকলে যা হয় আর কি। আর এসব কারণে দলের হয় বদনাম।
এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে বলেন, আমার জানা নেই। মিটিংয়ে আছি পরে কথা বলছি।
তানোর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিকুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, আমি গাড়ির উপরে আছি, এটা চেয়ারম্যান ভালো বলতে পারবেন বলে মোবাইল সংযোগ বিছিন্ন করেন তিনি। আজকের তানোর