সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:০৩ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে পবা ও মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজে যোগ দিতে দেননি স্থানীয় সাংসদ। শনিবার তাঁরা কর্মস্থলে যোগদান করতে এসে ফিরে যান।
এ বিষয়ে রাজশাহী-৩ আসনের সাংসদ আয়েন উদ্দিন বলেন, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এসব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। স্বজনপ্রীতি হয়েছে। তাই তিনি কাজে যোগ দিতে দেননি।
রাজশাহী সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে দরপত্র আহ্বান করে নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কাজ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির নাম ‘বিএসএস সিকিউরিটি’। ঠিকাদার ৯ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দিয়েছেন। তাঁরা হচ্ছেন ওয়ার্ডবয়, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, কুক ও নৈশপ্রহরী।
পবা ও মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়োগপ্রাপ্ত ২৬ জন যোগদান করতে গেলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। দুই উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারা তাদের জানিয়েছেন, একটা জটিলতা হয়েছে। জটিলতা শেষ হলে তারা কাজে যোগ দিতে পারবেন।
মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আরিফুল কবির বলেন, স্থানীয় সাংসদ তাদের যোগ দিতে নিষেধ করেছেন। কেন যোগদান করতে বারণ করেছেন, তা তিনি বলতে পারবেন না।
পবার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাবেয়া বাসরী বলেন, নিয়োগ হয়েছে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে। তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে পারবেন না।
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আয়েন উদ্দিন বলেন, এই নিয়োগে চলেছে টাকার খেলা। স্বজনপ্রীতি হয়েছে। অথচ করোনাকালে অনেকে বিনা পারিশ্রমিকে দিনের পর দিন কাজ করেছেন। কথা ছিল, অস্থায়ী কোনো নিয়োগ হলে তাদের নেয়া হবে। কিন্তু এখন হঠাৎ শুনছেন, আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ হয়ে গেছে।
এমপি বলেন, যারা এত দিন স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছেন, তাদের নিতে হবে। হঠাৎ করে বাইরের লোক এসে কাজ করবেন, তা হবে না। আর এটা তো পরীক্ষা দিয়ে নিয়োগ নয়। তাহলে পুরোনোদের নিতে অসুবিধা কোথায়?
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিএসএস সিকিউরিটির লাইসেন্স নিয়ে জনবল সরবরাহের কাজটি করেছেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আশিক হোসেন। যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সাংসদ হয়তো তার লোক দিতে চাচ্ছেন। সে সুযোগও রয়েছে। তারা পরিবর্তন করে দিতে পারবেন। সূত্র- প্রথম আলো
রাজশাহীর সিভিল সার্জন আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, সাংসদ ভুল বুঝছেন। তাঁরা নিয়ম মেনে ঠিকাদার নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। সেই ঠিকাদার আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল নিয়োগ দিয়েছেন। এখানে তাঁদের কিছু করার নেই। আজকের তানোর