ডেস্ক রির্পোট : বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, ১০ হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু আজ ৫০ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। দেশের টাকা চুরি করে দেশের আর্থিক খাতকে ধ্বংস করে দিচ্ছে এ সরকার। কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। কানাডায় সেকেন্ড হোম বানাচ্ছে। এর ফলে আজ দেশের অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতি ঘটেছে। এ কারণে আজ চালের দাম, তেলের দামসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে।

শুক্রবার বিকালে রাজশাহী মহানগরীর একটি রেস্তোঁরায় জাতীয়তাবাদী মহিলা দল রাজশাহী জেলা শাখার কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দুলু আরও বলেন, আগামী দিনের বাংলাদেশে বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি রেখে ও তারেক জিয়াকে দেশের বাইরে রেখে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। ইসলামের ইতিহাসে ফেরাউন যেমন পুরো পৃথিবীকে ধ্বংস করেছিল, সেই ফেরাউনের বংশধর বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠে মিথ্যা দিয়ে কথা শুরু করে। একটা দেশের প্রধান যখন বলেন যে, বাংলাদেশের জনগণ তিনবার তাকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছেন। এটা হাস্যকর। এ অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী সরকারের বিচার জনগণের আদালতে করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বিএনপির এই নেতা।

তিনি আরও বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিএনপি সমর্থন করে না। এ কমিশনের প্রধান কমিশনার বলেছেন, অতীতে দিনের ভোট রাতে হয়েছে। আগামী দিনে এ সম্ভাবনা নেই। তারা স্বীকার করে নিয়েছেন, ২০০৮ সালে চুরি করে, ২০১৪ সালে ভোট ছাড়াই এবং ২০১৮ সালে রাতের ভোটে এই অবৈধ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। আগামী দিনে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা হবে।

এ সময় রাজশাহীর নারীদের ঘর থেকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আগে নারীদের ঘরের ভেতর রান্না ছাড়া কোনো কাজ ছিল না। সে সময় নারীদের স্বামীরা নির্যাতন করতেন। শহিদ জিয়াউর রহমান প্রথম নারীদের ঘর থেকে বাইরে বের করে নিয়ে এসেছেন। ছেলেদের পাশাপাশি কর্মসংস্থান করেছেন। আমরা চাই আপনারা ঘর থেকে বেরিয়ে এসে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনুন।

এই কর্মিসভার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস।

এ সময় তিনি সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি আর অন্যায়ের কারণে মসনদে পচন ধরতে শুরু করেছে। ভোট চোর সরকার কাপুরুষের মতো আচরণ করছে। জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পুলিশ-প্রশাসন দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হচ্ছে। যদি কাপুরুষ না হন তাহলে পুলিশ-প্রশাসন ছাড়া রাজপথে নামুন। এ সময় তিনি মহিলা দলের নেতাদের এক হয়ে রাজপথে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান।

সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) সৈয়দ শাহীন শওকত। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সহ-সভাপতি (সাবেক এমপি) জাহান পান্নার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন- জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন- জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) রোকসানা বেগম টুকটুকি ও জেলা মহিলা দলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসাদ বেগম মিতালী। সূত্র : যুগান্তর