সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৫০ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাঙালি যখনই কিছু পায়, এগিয়ে যেতে থাকে মর্যাদা পাওয়ার দিকে, তখনই চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র শুরু হয়। একটা শ্রেণি আছে যারা আত্মমর্যাদা নিয়ে চলতে চায় না। তারা আত্মমর্যাদা বিকিয়েই আত্মতুষ্টিতে থাকতে চান। সমাজের সেই শ্রেণি দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না এবং স্বীকারও করে না। শহীদ দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমাজে আগাছা থাকবেই, তাদের কী করে সরাতে হবে, তা বাঙালিকেই ভাবতে হবে। জাতির পিতা বলেছিলেন, কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না। তো বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারেনি, পারবেও না। আমাদের একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বের সব ভাষাভাষী মানুষ এখন এই দিবসটি পালন করে। এটা বাঙালিই একটা মর্যাদার আসন অর্জন করা। আর সেটা দিয়ে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যেমন তিনি স্বাধীনতাটাও দিয়ে গেছেন। কাজেই যে কোনো সংগ্রাম এবং রক্তদান বৃথা যায় না। যদি সততার সঙ্গে এগিয়ে যাওয়া যায়, যে কোনো কিছু অর্জন করা সম্ভব।
আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রান্ত থেকে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ একটি ধর্মঘট পালিত হয়েছিল। একদিন আগে ১০ই মার্চ রাতে ফজলুল হক হলে আলোচনায় যদি তিনি উপস্থিত হতে না পারতেন, তাহলে আপোসকামীরা আপোস করে নিতো, পরেদিন কোন ধর্মঘট হতো না। ১১ মার্চ ভাষার জন্য যে দাবি উঠেছিল, সেটি উঠতো না। আমাদের ভাগ্য ভালো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন লড়াকু ও আপসহীন, তিনি সেদিন রাতে সেই আলোচনায় ছিলেন। তিনি কখনো কোন কিছুই অসম্ভব মনে করেননি। তিনি সফল হলেন। আমরা একটি ভাষা আন্দোলনের সূচনা করলাম।
রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন বাংলা হবে এই অঞ্চলের সার্বজনীন ভাষা। সেটি বাস্তবায়ন হয়েছে। আপনার (প্রধানমন্ত্রী) নেতৃত্বে জাতিসংঘ থেকে ইউনিস্কোকে চিঠি দিতে বলা হয়েছিল। দ্রুততম সময়ে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) সেই চিঠিটি দিয়েছিলেন। ফলে ইউনিস্কোকে বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। আগামীতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতিসংঘের অন্যতম ভাষা হিসেবে বাংলা ভাষা স্বীকৃতি লাভ করবে বলে বিশ্বাস করি। সেদিন ভাষা শহীদদের আত্মা আরো বেশি শান্তি পাবে, বাঙালি আরো শান্তি পাবে।
আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রান্ত থেকে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান এবং আবু আহাম্মদ মন্নাফি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ। আজকের তানোর