ডেস্ক রির্পোট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বেড়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন,সতর্ক থাকবেন। নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন, পরিবারকে সুরক্ষিত রাখবেন।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের গ্র্যাজুয়েশন সেমিনারে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিন।
শেখ হাসিনা বলেন, যে সম্মান ৭১ এ পেয়েছি, আবার সে সম্মান ৭৫ এ হারিয়েছি, সেই সম্মান আবার পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। এখন আর বাংলাদেশকে কেউ অবহেলা করতে পারবে না।
তিন বাহিনীকে যুগোপযোগী করা হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত এলে বসে থাকবে না বাংলাদেশ।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আজ সত্যিই জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তিনি বলেছিলেন- ‘একদিন বিদেশি বন্ধুরা আমাদের একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিতে আসবে।’ তাই হয়েছে।
আমাদের ডিএসসিএসসি আন্তর্জাতিকভাবেও এক অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এখানকার বিদেশি প্রশিক্ষণার্থীরাই আমাদের শুভেচ্ছা দূত।
তিনি বলেন, এক সময় বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশে নেতিবাচক কথা ছিল। অবশ্য এখনও কিছু কিছু লোক আছে, আমাদের দেশের বদনাম করতেই বেশি পছন্দ করে।
কিন্তু আমাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ফলে আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষা এবং দেশের সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনে যে দক্ষতা দেখিয়েছি, তাতে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।
দেশের মর্যাদা ধরে রাখতে হবে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ঠিক ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের পর যে সম্মান আমরা পেয়েছিলাম। আবার ১৯৭৫ এর ট্রাজেডির পর যে সম্মান হারিয়েছিলাম।
আজ আবার সেই সম্মান পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। এখন আর বাংলাদেশকে কেউ অবহেলা করতে পারে না। বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বের দরবারে মর্যাদা পেয়েছে।
গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ কোর্সে আপনারা সামরিক জ্ঞান ও জাতীয়-আন্তর্জাতিক উচ্চতর জ্ঞান লাভ করেছেন। এ জ্ঞান আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন ও যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়ক হবে।
আমি চাই আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্য আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন হবে। এজন্য পদবি পরিবর্তন করা থেকে শুরু করে অনেক কাজ করে দিয়েছি। যাতে প্রতিটি সদস্য সমানতালে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চলতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত বাংলাদেশ গড়তে চাই। ২০৭১ সালে আমরা স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপন করব। আমার একটাই আবেদন নতুন অফিসারদের কাছে।
উন্নত বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক হিসেবে কাজ করতে হবে। দেশকে ভালোবাসতে হবে। সবসময় মাথা উঁচু করে চলতে হবে এবং দেশের মানুষের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ হতে হবে।
সামরিক কায়দায় জাতীয় সংগীত বাজিয়ে কর্মকর্তারা সম্মান জানান প্রধানমন্ত্রীকে। পরে, ভার্চুয়াল মাধ্যমে এবারের কোর্স সম্পন্ন করা দেশি-বিদেশি ২৫১ কর্মকর্তার কোর্সের সনদ তুলে ধরেন।
এবারের কোর্সে ১৮টি দেশের ৪৭ বিদেশি কর্মকর্তার পাশাপাশি ছিলেন সশস্ত্র বাহিনীর ও বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। আজকের তানোর