রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:২৫ pm
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সম্প্রতি সমুদ্রে মিসাইল পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া প্রাথমিকভাবে মনে করেছিল, উত্তর কোরিয়া হয়তো পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করেছে। তবে কিম জং উন পরে জানান, হাইপারসনিক মিসাইলের পরীক্ষা হয়েছে।
ওই পরীক্ষার পরই উত্তর কোরিয়ায় ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। উত্তর কোরিয়ার ওপর আগে থেকেই একাধিক মার্কিন এবং জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা জারি আছে, নতুন এই নিষেধাজ্ঞা তার ওপর যুক্ত হলো।
যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞার পর এবার মুখ খুলেছে পিয়ংইয়ং। তাদের দাবি, সম্পূর্ণ বিনা কারণে যুক্তরাষ্ট্র নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদপত্রে বৃহস্পতিবার দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের একটি বিবৃতি ছাপা হয়েছে। সেখানে কার্যত যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনের নতুন নিষেধাজ্ঞার সামনে মাথা নত করবে না পিয়ংইয়ং। আত্মরক্ষার্থে নতুন নতুন অস্ত্রের পরীক্ষাও অব্যাহত থাকবে।
উত্তর কোরিয়ার দাবি, কোনো দেশকে লক্ষ্য করে নতুন মিসাইলের পরীক্ষা করা হয়নি। নিজেদের অস্ত্রভান্ডার এবং সামরিক শক্তির আধুনিকীকরণের উদ্দেশেই এই পরীক্ষা করা হয়েছে। কোনো দেশের যাতে ক্ষতি না হয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছিল।
এরপরই ওয়াশিংটনের এক হাত নিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বরাবরের মতো মোড়লগিরি চালানোর চেষ্টা করছে। উত্তর কোরিয়া তাতে ভয় পায় না।
অবশ্য উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়ে মুখ খুলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনও। তিনি বলেছেন, উত্তর কোরিয়া একের পর এক অস্ত্রের পরীক্ষা করে শক্তির ভারসাম্য নষ্ট করছে। ইচ্ছে করেই তারা এ কাজ করছে।
এছাড়া ভবিষ্যতেও উত্তর কোরিয়া এভাবে আরও অস্ত্রের পরীক্ষা করতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করে ব্লিংকেন আরও বলেছেন, অস্ত্রের পরীক্ষা বন্ধ করে উত্তর কোরিয়া যদি আলোচনার টেবিলে বসতে চায় তাহলে ওয়াশিংটন সেই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাবে। আজকের তানোর