শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:২৯ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগমারা : রাজশাহীর বাগমারার কাচারী কোয়ালীপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও তাঁর ভাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নৌকা প্রতীকে ভোট না দিলে বিভিন্ন ধরণের হুমকী দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়। ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোজাম্মেল হক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এই অভিযোগ করেন। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ইউনিয়নের কাচারীকোয়ালীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন স্থানে ভাংচুরকৃত নির্বাচনী অফিসে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে বলেন, তিনি আচরণবিধি মেনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আয়েন উদ্দিনের লোকজন বিভিন্ন ভাবে হুমকী দিয়ে আসছেন।
বুধবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ছোটভাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মজিদের নেতৃত্বে তাঁর স্বজনেরা লাঠি ও হাসুয়া নিয়ে আট এবং নয় নম্বর ওয়ার্ডে স্থাপন করা নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা চালান। ক্যাম্পে থাকা আসবাবপত্র ও ব্যানার ফেস্টুন ভেঙে ফেলেন। শ্লোগান দিতে দিতে এসব ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয় বলে তিনি সম্মেলনে অভিযোগ করেন। এসময় তিনি ঘটনার একটি ভিডিও সাংবাদিকদের মাঝে সরবরাহ করেন। এতে লাঠি হাতে আওয়ামী লীগ সভাপতির পাশে একাধিক লোকজনকে দেখা যায়।
পরে শ্লোগান দিতে দিতে নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ভাংচুরের দৃশ্য চোখে পড়ে। এখানে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ছেলে আরিফ হোসেন ও বেলাল হোসেনকে দেখা যায়। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ভাই আবদুল মজিদ বয়স্ক, বিধবাসহ সরকারি বিভিন্ন সুবিধাভোগীদের বাড়িতে গিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য বলছেন। ভোট না দিলে ভাতার তালিকা থেকে নাম কেটে দেওয়া হবে বলেও হুমকী দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন মামলায় জড়ানোরও হুমকী দেওয়া হচ্ছে বলে সম্মেলনে অভিযোগ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য প্রার্থী মাস্টার রহিদুল ইসলামসহ নেতা-কর্মীরা। মোজাম্মেল হক জানান, এসব বিষয়ে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি তাঁর ইউনিয়নসহ প্রতিটি ইউনিয়নে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনের আগে প্রার্থী মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে প্রতিবাদসভায় মিলিত হয়। প্রতিবাদসভা থেকে উপরোক্ত অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মজিদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। জানাগেছে, মোজাম্মেল হক উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকারী কমিটির সদস্য ছিলেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় তাঁকে দলীয় পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। আজকের তানোর