সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:৫২ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা : শেষ পর্যন্ত তার জয় ঠেকানো যায়নি। মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে জেল থেকেই বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন নুর মোহাম্মদ তুফান। সম্প্রতি ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুর মোহাম্মদ তুফান মোটরসাইকেল প্রতীকে ৮ হাজার ১৬৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
তবে তুফান নির্বাচনের মাঠে উপস্থিত ছিলেন না, এখন আছেন কারাগারে।
বিজয়ী নুর মোহাম্মদ তুফানের পক্ষে তার স্ত্রী রোজিনা আকতারি পলি স্বামীর হয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত তিনিই হাসলেন জয়ের হাসি।
জানা যায়, বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক নুর মোহাম্মদ তুফান বাউসা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তুফান গতবার নৌকার প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবার তাকে মনোনয়ন না দিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শফিকুর রহমান শফিককে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। তবে তা মানতে পারেননি তুফান। বিদ্রোহী প্রার্থী হন।
অভিযোগ রয়েছে, নৌকার প্রার্থীর পক্ষে প্রার্থিতা প্রত্যাহারে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতারা তাকে অব্যাহতভাবে চাপ দিতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত গত ৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা তুফানের টলটলিপাড়ার বাড়িতে সশস্ত্র হামলা চালায়। ভাঙচুর করা হয় তার বাড়িতে। এলাকাবাসী ডাকাত সন্দেহে আওয়ামী লীগ নেতাদের ধরে গণপিটুনি দেয়। পরেরদিন ৫ ডিসেম্বর সকালে তুফান মামলা করতে বাঘা থানায় গেলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পাঠানো হয় জেলহাজতে। আদালত কয়েকদফা তার জামিন নামঞ্জুর করেন। ভোটের আগে তুফানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
জানা যায়, পরে আরও দুই দফা তুফানের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। বাউসার কোথাও তুফানের পোস্টার লাগাতে দেওয়া হয়নি। খুলতে দেওয়া হয়নি নির্বাচনী ক্যাম্প। প্রতিদিনই তুফানের প্রচার মাইক ভাঙচুর হয়েছে। স্ত্রী রোজিনা একাই স্বামীর পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন গ্রাম মহল্লা ঘুরে ঘুরে। তবে তাকেও প্রচারণা চালাতে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। নির্বাচন অফিসে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি। শেষ পর্যন্ত এলাকার মানুষ বিপুল ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছেন তুফানকে।
এদিকে ঘোষিত বেসরকারি ফলাফলে জানা গেছে, বিজয়ী বিদ্রোহী প্রার্থী তুফান মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৮ হাজার ১৬৫ ভোট। অপরদিকে নৌকার প্রার্থী শফিকুর রহমান শফিক পেয়েছেন ৫ হাজার ৪২৮ ভোট। বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন পলাশ আনারস প্রতীকে ৫ হাজার ৪৪৫ ভোট পেয়েছেন।
নুর মোহাম্মদ তুফানের স্ত্রী রোজিনা আকতারি পলি বলেন, এই বিজয় বাউসার মানুষের। তারা ব্যালটের মাধ্যমে অন্যায়ের নীরব প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এই প্রতিবাদের ভাষা আমরা বুঝি। যারা গায়ের জোরে আমার স্বামীকে ভোট থেকে সরাতে চেয়েছিল, জনগণ তাদের লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দিয়েছে। আমরা বাউসার জনগণের কাছে কৃতজ্ঞ। আজকের তানোর