বৃহস্পতিবর, ২১ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৩৪ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক : চতুর্থ ধাপে চারঘাটের ছয়টি, বাঘায় তিনটি ও দুর্গাপুর উপজেলায় ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল রোববার। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে নির্বাচনী প্রচার। নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিকে বেশ কিছু স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এতে সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দিতে পারা নিয়ে ভোটারদের মধ্যে রয়েছে শঙ্কা-উৎকণ্ঠাও। তবে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সুষ্ঠু ও অবাধ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর
চারঘাট : চারঘাটে শুক্রবার প্রচারণার শেষ দিনে তিন ইউনিয়নে পোড়ানো হয়েছে নৌকার নির্বাচনী কার্যালয় এবং ভাঙচুর করা হয়েছে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচার গাড়ি। ইতিমধ্যে উপজেলার ভোটগ্রহণের ৬০টি কেন্দ্রের সবগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। শুক্রবার ভোর রাতে উপজেলার সরদহ ইউনিয়নের ফকিরপাড়া বাজারর নৌকার অস্থায়ী কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। একই দিন ভোরে
শলুয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে নৌকার অস্থায়ী কার্যালয় আগুনে পুড়ে গেছে। স্বতন্ত্র দুই প্রার্থীকে অফিস পোড়ানোর ঘটনায় দায়ী করছেন নৌকার প্রার্থী। সদর ইউনিয়নের অনুপামপুর গ্রামে নৌকার কার্যালয়ে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে, শলুয়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান জিয়াউল হক মাসুম ও মাস্টার কালাম আজাদের প্রচার কাজে ব্যবহৃত অটো রিকশায় হামলা চালিয়েছে দুর্বত্তরা।
ইউএনও রবিউল আলম বলেন, ‘বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটেছে। এগুলো নিরসনে প্রশাসন কাজ করছে। মাঠে তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। রোববারের ভোট শতভাগ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে আশা করছি।’
দুর্গাপুর : দুর্গাপুর উপজেলার ছয় ইউনিয়নের সব কটিতেই চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের একাংশ প্রকাশ্যে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে প্রচারের মাঠে নেমেছেন। এতে চার ইউপিতেই বিদ্রোহীদের সঙ্গে নৌকার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে।
পানানগর ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আজাহার আলী খাঁ। এই ইউপিতে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম রেন্টুর পক্ষে অনেক নেতা-কর্মীকে সভা সমাবেশে অংশ নিতে দেখা গেছে।
জয়নগর ইউপিতে নৌকার প্রার্থী মিজানুর রহমান। এখানে বিদ্রোহী হয়েছেন শমসের আলী। তাঁর পক্ষে একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা করছেন।
নওপাড়া ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম। বিদ্রোহী প্রার্থী শফিকুল ইসলাম।
কিসমত গণকৈড় ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ। ওখানে বিদ্রোহী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা আকরব আলী। এ ছাড়াও ঝালুকা ইউপিতে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন নতুন মুখ আকতার আলী। মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাজার আলী মণ্ডল।
দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘যাঁরা নৌকার বিপক্ষে কাজ করছেন তাঁরা আওয়ামী লীগের কেউ না। আগামী কাউন্সিলে তাঁদের আর কোনো পদ পদবি দেওয়া হবে না।’ রোববারের ভোটে ছয় ইউপিতেই নৌকার জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।
বাঘা : উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ২৭টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে নয়টি ভোটকেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। বাঘার আড়ানী, বাউসা ও চকরাজাপুর ইউপিতে মোট নয়জন চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছেন। এখন ভোটের মাঠে আছেন আটজন চেয়ারম্যান প্রার্থী।
বাঘার তিন ইউনিয়নের মধ্যে বাউসাতেই সবচেয়ে বেশি উত্তেজনা রয়েছে। নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগে করা মামলায় কারাগারে আছেন বিদ্রোহী প্রার্থী তুফান। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, নির্বাচনে প্রচার থেকে দূরে রাখতে মিথ্যা মামলায় তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মজিবুল আলম বলেছেন, ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রয়েছে। সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আজকের তানোর