শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:০৭ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক, গোদাগাড়ী : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামে আদিবাসীর প্রায় কোটি টাকার মূল্যের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় এক ভূমিদস্যু কেনার নামে জোর পূর্বক ওই জমি দখল করে নেয়। জমি উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পায়নি ভুক্তভোগী আদিবাসী মোহর লাল পান্না। তিনি উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউপির ৩ নং ওয়ার্ডে বসন্তপুর গ্রামে বাঁশঝাড় ও ভিটা মিলে ২৪ কাঁটা জমি পেয়েছেন ওয়ারিস সূত্রে দুই ভাই। উল্লেখিত জমিটি হলো, মৌজা: বসন্তপুর, দাগ নং : ৭৯/৯০, আরএস খতিয়ান ২৮, বসন্তপুর, জেএল নং ২৯৮/ এ বাঁশঝাড় ও ভিটাসহ মোট জমির পরিমান ২৪ কাঠা। ওয়ারিস সূত্রে ওই জমির মালিক গোদাগাড়ী চৌদুয়ার গ্রামের গাহানু সরদারের দুই ছেলে জোহরলাল পান্না ও মোহর লাল পান্না আদিবাসী।
র্দীঘদিন আগে তাদের ওই ২৪ কাঠা জমি কেনার জন্য বায়নামা করতে চায় ওই এলাকার বসন্তপুর গ্রামের মৃত মাহমুদের ছেলে জালাল উদ্দিন ইসলাম (৫৮)। কিন্তুু ওই জমিটি কেনার কথা বলে দখলে নেয় জালাল। পরে জমি কিনতে চাই না আর। সেই সাথে জোর করে ওই জমিতে টিন দিয়ে ঘর তুলে জোর করে দখলে নিয়ে নেই আদিবাসির ওই ২৪ কাঠা জমি। জমিটির কোন কাগজ পত্র না থাকলেউ তারা জোর করে জমিটি দখল নিয়ে আছে বর্তমানে। এলাকায় তারা চিহৃত ভুমীদস্যু হিসাবে পরিচিত।আরো জানা গেছে, বসন্তপুর গ্রামের মৃত মাহমুদের ছেলে জালাল উদ্দিন ইসলাম তার দুই ভাই শহিদুল, মাহাবুর ও তার ভাতিজা মৃত: আলাউদ্দিনের ছেলে এলাকার চিনহৃত ভুমীদস্যু হিসাবে পরিচিত নয়নের নেতৃত্বে জালাল উদ্দিন তার ছেলেসহ সবাই মিলে আদিবাসির ২৪ কাঠা জমি দখল করে আছে বর্তমানে। বেশ কিছু দিন আগে ওই জমিতে জালাল ইট দিয়ে বাড়ি নির্মান করতে গেলে ওই জমির মালিক আদিবাসী পান্না গোদাগাড়ীর প্রেমতলী পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিতো অভিযোগ দিলে পুলিশ গিয়ে বাড়ি নির্মান কাজ বন্ধ করে দেয়। ওই জমি উদ্ধারে আদিবাসী ও আ.লীগ নেতা পান্না বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও এখন পর্যন্ত কোন প্রতিকার পাইনি বলে প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করেন মোহর লাল পান্না।
ক্যমেরার সামনে তিনি আরো বলেন, জমির খাঁজনা খারিজসহ সব কাগজ পত্র আমাদের নামে। কিন্তুু তারা জোর পূর্বক প্রায় এক কোটি টাকা দামের জমিটি দখল করে আছে। ভুমীদস্যুর কাছে বড় অসহায় হয়ে পড়েছেন বলে জানান তিনি।
ভুক্তভোগী মোহর লাল পান্না আরো বলেন, জমি দখল নিতে গেলে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ও হত্যার হুমকি দেয় তারা। ওই এলাকার ভুমিদস্যু নয়নের নেতৃত্বে জালাল ও তার লোকেরা জমিতে নামলে তাকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে র্দীঘদিন ধরে। জমি কিনতে চেয়ে জমি জোর করে দখল করে রেখেছে তারা। এলাকায় ভূমিদস্যু হিসাবে চিহৃত তারা।
এছাড়াও এলাকায় বহু মানুষের জমি জোর করে দখল করে আছে ভুমিদস্য হিসাবে চিহৃত তার পরিবারের লোক জন। নয়নের ভাই বাবু জমি দখল করাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার সোনাদিঘি গ্রামের তসলিম কে হত্যা করে জেল হাজতে রয়েছে বর্তমানে বাবু।এ বিষয় ভুমিদস্যু জালাল উদ্দিনের ভাই মৃত আলাল উদ্দিনের ছেলে নয়ন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, র্দীঘদিন আগে ওই জমিটি মৃত গহানু সরদারের কাছে থেকে লিখা পড়া করে নেয় আমার চাচা জালাল উদ্দিন। হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি নিতে গেলে কোটের মাধ্যে বায়নামা করে সেই সময় আমার চাচা।
কিন্তুু তার পরে তিনি মারা যাওয়ার পরে সেই জমিটি আর রেজিস্ট্রি করা হয়নি। সেই সময় থেকে ওই জমিতে আমার চাচা জালাল উদ্দিন বাড়ি করে থাকেন। এবিষয় কয়েক বার সমাধানে বসলে তারা জমির দাম অনেক চাই যা আমার চাচার পক্ষে দেয়া সম্ভব না। তবে জোর করে আদিবাসীর জমি দখল করে আছি আমার নেতৃত্বে এ অভিযোগ সঠিক না।
তিনি আরো বলেন, সরজমিনে এসে আপনারা দেখে যান। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে সঠিক বিষটি জানতে পারবেন। তবে জমি রেজিস্ট্রি ও খাজনা খারিজ তার চাচা জালালের নেই বলেও স্বীকার করেন তিনি।
এ বিষয় গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহি অফিসার জানে আলমের মুঠো ফেনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযোগ অনুপাতে আমাদের যদি আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ থাকে তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেবো বলে জানান তিনি। আজকের তানোর