সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:৪৯ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা : রাজশাহীর বাঘায় একটি সেতুর অপেক্ষায় রয়েছেন আটটি চরের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। পদ্মার ক্যানেলের ওপর একটি সেতু নির্মাণ করা হলে অতিসহজে উপজেলা সদরের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করতে পারবেন। এ নিয়ে চরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি একটি সেতু নির্মাণের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাঘা উপজেলার পদ্মা নদীর ক্যানেলের ওপর শিমুলতলাঘাট, চাঁদপুরঘাট, পালপাড়াঘাট, সরেরহাটঘাট, খায়েরহাটের ক্লাবের ঘাট, খায়েরহাট হালিম মাস্টারের ঘাট রয়েছে। এই ঘাটের যে কোনো স্থানে একটি সেতু নির্মাণ করা হলে আট চরের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ সহজেই উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে পারবেন।
পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়ন। এখানে চকরাজাপুরচর, কালীদাসখালীচর, লক্ষ্মীনগরচর, দাদপুরচর, উদপুরচর, পলাশী ফতেপুরচর, ফতেপুর পলাশীচরসহ আটটি চর রয়েছে। এই আটটি চরের মানুষ বর্ষা মৌসুমে নৌকা আর শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকো আবার কখনও পায়ে হেঁটে পারাপার হন। নৌকায় পার হতে গিয়ে অনেকেই পদ্মায় নিখোঁজ হয়েছেন। অনেকেই মারাও গেছেন।
পদ্মার মধ্যে ৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থাকলেও কোনো উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ নেই। এ কারণে সেখানকার শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক পাস করার পর যোগাযোগব্যবস্থার অভাবে লেখাপড়াই বন্ধ করে দেয়। যারা লেখাপড়া করেন তাদের অনেক কষ্টে উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হয়।
চর এলাকায় চাষ হওয়া বিভিন্ন কৃষিপণ্য স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও বিক্রি হয়। যাতায়াত ব্যবস্থার অভাবে এসব উৎপাদিত কৃষিপণ্য খুব কম দামে সেখানেই ফড়িয়াদের কাছে বিক্রি করতে হয় চাষিদের।
এ বিষয়ে দাদপুরচরের সাবেক মেম্বর রেজাউল করিম জানান, সেতুর অভাবে এখানে উৎপাদিত কৃষিপণ্য সঠিকভাবে বাজারজাত করা সম্ভব হয় না। এখানে যাতায়াতের জন্য একটি সেতু নির্মাণ করা হলে আটটি চরের মানুষ কৃষিপণ্য সঠিকভাবে বাজারজাত করাসহ সাধারণ মানুষও নিরাপদ যাতায়াত করতে পারবেন।
এখানে থাকা মানুষকে বর্ষা মৌসুমে নৌকায় ও শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকো আবার কখনও পায়ে হেঁটে অনেক কষ্টে পার হতে হয়। অনেক সময় মানুষ সময়মতো পৌঁছতে পারেন না বলেও জানান তিনি।
চকরাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপির সহযোগিতায় চরে বিদ্যুৎ, পাকা রাস্তা, স্কুলের ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। তবে একটি সেতুর জন্য আবেদন করা হয়েছে। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি সেতুটি পাস হয়ে আসবে। সেতুটি নির্মাণ হলে আটটি চরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
এ ব্যাপারে বাঘা উপজেলা প্রকৌশলী রতন কুমার ফৌজদার জানান, স্থানীয় সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সহযোগিতায় খায়েরহাট হালিম মাস্টারের ঘাটে ৬০০ মিটার একটি সেতুর জন্য কাগজপত্র মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই অনুমোদন হবে। আজকের তানোর