রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:৪৫ am
ক্রীড়া ডেস্ক : ৪৪ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেও শেষ পর্যন্ত অস্বস্তি নিয়েই দিন শেষ করল বাংলাদেশ। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৩৯ রান যোগ করতেই চার চারটি উইকেট হারায় টিম টাইগার্স।
তৃতীয় দিন শেষে এ মুহূর্তে বাংলাদেশের লিড ৮৩ রান। হাতে আছে আর মাত্র ৬টি উইকেট। এ অবস্থা থেকে কোথায় গিয়ে থামবে বাংলাদেশের ইনিংস? শক্তিশালী ব্যাটিং অর্ডারের পাকিস্তানকে কতইবা টার্গেট দেবে মুমিনুল বাহিনী। সোমবার (২৯ নভেম্বর) চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিন সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে।
পাকিস্তান চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল বিনা উইকেটে ১৪৫ রান করে। কিন্তু তৃতীয় দিনের শুরু থেকেই তাইজুলের ঘূর্ণিতেই সবকটি উইকেটের বিনিময়ে ২৮৬ রানে গুটিয়ে যায় বাবর আজমদের প্রথম ইনিংস।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪৪ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে ১৫ রান যোগ করতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে টাইগাররা।
১৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে লজ্জার এক রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে এর আগে ২০ রানের নিচে কখনো ৩ উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। এছাড়া ২৫ রানের মাথায় ৪ উইকেট হারানোর পরও নতুন রেকর্ড গড়ে টাইগাররা। কারণ এর আগে এত কম রানে ৪ উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ।
অন্যদিকে, অধিনায়ক হিসেবে মুমিনুল হকও ব্যাটিং ব্যর্থতায় নতুন রেকর্ড গড়েন। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে টাইগার তিন অধিনায়ক খালেদ মাসুদ, খালেদ মাহমুদ ও মুশফিকুর রহিম শূন্য রানে আউট হওয়ার নজির গড়েছিলেন। এবার সেই তালিকায় নিজের নামও লিখলেন মুমিনুল।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন টাইগার ব্যাটসম্যান সাদমান ইসলাম। আউট হওয়ার আগে করেছেন ১২ বলে মাত্র ১ রান। এর আগে প্রথম ইনিংসে তিনি ২৮ বলে ১৪ রান করে পাক পেসার হাসান আলির শিকার হয়েছিলেন। এক বল পর শাহিন আরেক শিকার বানান নাজমুল হাসান শান্তকে। প্রথম বল ডট দেওয়ার পর দ্বিতীয় বলটিতেই খোঁচা দেওয়ার লোভ সামলাতে পারেননি নাজমুল। প্রথম স্লিপে ধরা পড়েছেন। কোনো রান না করেই ফিরে গেছেন তিনি।
হতাশ করেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। কোনো রান না করেই সাজঘরে ফিরলেন তিনি। এর আগে প্রথম ইনিংসেও ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ ছিলেন তিনি। সাজিদ খানের বলে আউট হওয়ার আগে করেছিলেন ১৯ বলে মাত্র ৬ রান। আজ সেটিও পারলেন না। হাসান আলির বলটা ঠিকভাবে খেলতে পারেননি মুমিনুল। তার ব্যাটে লেগে বল চলে গিয়েছিল মিডউইকেটে। আজহার আলী কোনো ভুল না করেই ক্যাচটি তালুবন্দি করলেন।
এর আগের ওভারেই শাহিন আফ্রিদির বলে আউট হতে হতেও বেঁচে গিয়েছিলেন মুমিনুল। কিন্তু জীবন পেয়েও কিছু করতে পারলেন না। এদিকে, পানি পানের বিরতির পরপরই নিজেদের চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে বাউন্সার সামলাতে না পেরে আউট হয়েছিলেন সাইফ। দ্বিতীয় ইনিংসেও সেই শাহিন আফ্রিদির বাউন্সারেই আউট হলেন সাইফ। সাজঘরে ফেরার আগে ১৮ রান করেন সাইফ।
শেষ পর্যন্ত বেশ কিছু ওভার বাকি রেখেই আলোকস্বল্পতায় তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হয়। এ মুহূর্তে ক্রিজে আছেন মুশফিকুর রহিম ১৫ এবং ইয়াসির রাব্বি ১২ রানে।আজকের তানোর