শনিবর, ২১ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:৪০ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় সেনাবাহিনীর বেসামরিক পদে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই প্রতারককে আটক করেছে র্যাব-৫। শনিবার দুপুরে উপজেলার কলমা ইউপি’র ভালুকাকান্দর গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়। আটক দু’জন হলেন- উপজেলার কলমা ইউনিয়নের ভালুকাকান্দর গ্রামে শফিকুল ইসলাম ওরফে বাবুল ও রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা এলাকার আনোয়ার হোসেন ওরফে সাবের আলী।
র্যাব-৫ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর নাজমুস সাকিব জানান, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তানোর উপজেলার রঞ্জু, আলমগীর ও মেহেদী হাসান নামের তিন যুবককে সেনাবাহিনীর বেসামরিক বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখায় প্রতারক চক্রটি। সাবের আলীর বাসায় তাদের একটি লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। ভুক্তভোগীদের বিশ্বাস করাতে নিজের ছেলেকেও ওই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী হিসেবে দেখায় প্রতারক বাবলু। তারা চাকরি দেওয়ার কথা বলে মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করে।
পরে রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করে তাদের শারীরিক যোগ্যতা ঠিক আছে বলে জানায়। গত ফেব্রুয়ারিতে একটি ভূয়া নিয়োগপত্র দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্রটি। ওই বছরের জুনে তাদের র্কমস্থলে যোগদান করতে হবে জানিয়ে যোগদানের আগে অবশিষ্ট টাকা চাওয়া হয়। অবশিষ্ট টাকা পরিশোধের কথা বলে রঞ্জু এবং আলমগীরের কাছ থেকে খালি চেক ও স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় প্রতারকচক্রটি।
এরপর ভুক্তভোগীরা ঢাকায় চাকরিতে যোগদানের জন্য গিয়ে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন। পরে সাবের আলীর সঙ্গে বিভিন্নভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা ব্যর্থ হন। ওই ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতারকচক্রের দুই সদস্য সাবের ও বাবুলকে আটক করা হয়েছে।
নাজমুস সাকিব আরও বলেন, আটককৃতরা টাকার বিনিময়ে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে কৌশলে প্রতারণা করে আসছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা প্রতারণার অভিযোগ স্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তানোর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে জানতে তানোর থানার ওসিকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও রিসিভ হয়নি।
পরে তানোর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল বারী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামীদের আজ রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আজকের তানোর