শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:৪১ am
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে অর্থ আত্মসাত চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ। শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) বিভিন্ন সময়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত চারটি ল্যাপটপ, একটি ডেস্কটপ, নয়টি মোবাইল ফোন সেট, ১৬টি ভুয়া নিয়োগপত্রসহ অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রাজশাহীর বোয়ালিয়া মডেল থানার আদিলুজ্জামান আদিলের ছেলে মোহসিইউ জামান অমি (৩০), রাজপাড়া থানাধীন বহরমপুরের রিয়াজুল ইসলামের ছেলে রিদুয়ান ইসলাম রুপ (২১), রাজশাহী জেলার বাগমারা থানার পশ্চিম পালোপাড়ার আবুল কাসেমের ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৫), বগুড়া জেলার গাবতলী থানাধীন সাহবাসপুর গ্রামের রঞ্জু মিয়ার ছেলে রাব্বি হাসান (২৮) ও জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল থানার দাশরা খানপাড়ার এমদাদুল হকের ছেলে আরাফাত হোসেন শুভ (২২)।
পুলিশ জানায়, কতিপয় ব্যক্তি নর্দান ইলেকট্রিসিটি এন্ড সাপ্লাই লিমিটেডের (নেসকো) বিভিন্ন পদে চাকুরি দেয়ার নাম করে প্রতারণা করে আসছিল। তারা সাধারণ জনগণের নিকট টাকার বিনিময়ে ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করে। ঢাকা মহানগরীর মুগদা থানাধীন উত্তর মুগদাপাড়ার রইচ উদ্দিন মুন্সির ছেলে মোক্তাল হোসেন মোতালেবের (৫৩) এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়।
মামলার পরে বোয়ালিয়া মডেল থানার একটি টিম শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে নগরীর উপশহর এলাকা থেকে মোহসিইউ জামান অমিকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজপাড়া থানার তেরখাদিয়া পশ্চিমপাড়া এলাকা থেকে অন্যান্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় আসামীদের অফিস হতে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ০৪টি ল্যাপটপ, ০১টি ডেস্কটপ, ০১টি প্রিন্টার, নেসকো লিমিটেড এর বিভিন্ন পদে চাকুরির ১৬টি ভুয়া নিয়োগপত্র, ২৪টি স্ট্যাম্প, নেসকো কোম্পানীর লোগো সম্বলিত ব্যানার ১টি, ভোটার আইডি কার্ড ২০ টি, মোবাইল ফোন সেট ৯টি, ১টি মোটর সাইকেল উদ্ধার হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, আসামী মোহসিইউ জামান অমি নিজেকে নেসকো লিমিটেড এর সহকারী প্রকৌশল হিসেবে পরিচয় দিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্রগুলো চাকুরি প্রত্যাশীদের প্রদান করে টাকা নিতো। আসামী রিদুয়ান ইসলাম কম্পিউটার প্রশিক্ষক ও নিয়োগপত্র তৈরির কাজগুলো করতো এবং অন্যান্য আসামীরা প্রতারণার কাজে সহায়তা করতো। আসামীরা ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরি করে সাধারণ জনগণকে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাৎকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। আজকের তানোর