রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:১৯ pm

সংবাদ শিরোনাম ::
রাজধানীতে প্রেসক্লাবে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক, যান চলাচল বন্ধ একতরফা নির্বাচন গায়ের জোরে করতে চাই না কেউ : নতুন সিইসি গাজীপুরে দুর্ঘটনায় নিহর শিক্ষার্থী সাকিবের লাশ রাজশাহীতে দাফন কম্পিউটার কী বোর্ডের মাধ্যমে রাজশাহীতে পাহাড়িয়াদের মাতৃভাষার লিখন পঠন কার্যক্রম উদ্বোধন গোদাগাড়ীতে প্লাজমা ফাউন্ডেশনের ৯ম তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন আমবাগান থেকে বাঘায় দিনমুজুরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার নগরীতে জেলা কৃষকলীগ সভাপতি তাজবুল ইসলামসহ ১৫ জন গ্রেপ্তার নাচোলে মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের ১৪৮তম শাখা উদ্বোধন গণতন্ত্রের মোড়কে বাকশাল কায়েম চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা : সাকি তানোরে আলু বীজে মহাসিন্ডিকেট, দ্বিগুন দামে দিশেহারা চাষীরা! দুর্গাপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক রফিক সরকারের দাফন সম্পন্ন দুর্গাপুরে বিএনপি’র আয়োজনে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপিত মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য কোথাও বসাতে না পেরে বিক্রি করলেন ভাঙারির দোকানে রাজনৈতিক দলকে সরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা নেই : আনন্দবাজারকে জামায়াতের আমির আগামী তিন মৌসুমের জন্য আইপিএলে যে ১৩ ক্রিকেটারের নাম দিল বিসিবি স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েও কাজ থামিয়ে রাখেননি অভিনেত্রী হিনা খান নগরীতে সন্ত্রাসি কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধে ১১ জন গ্রেপ্তার তানোরে সার বিতরণে অনিয়ম ও পাঁচার রোধে হট্টগোল মারপিট দুর্গাপুরে হোজা নদী পুন:খনন ও দখলমুক্ত দাবিতে ইউএনও’কে স্মারকলিপি রাজশাহীতে সমন্বয়ক পেটানোর ব্যাখ্যা দিল মহানগর ছাত্রদল
কুড়িগ্রামে স্কুল ফিডিং বন্ধ, বিদ্যালয়গুলোয় কমে যাচ্ছে শিক্ষার্থী

কুড়িগ্রামে স্কুল ফিডিং বন্ধ, বিদ্যালয়গুলোয় কমে যাচ্ছে শিক্ষার্থী

ডেস্ক রির্পোট : কুড়িগ্রাম জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৩ লাখ শিক্ষার্থী স্কুল ফিডিংয়ের বিস্কুট পাচ্ছে না। এতে করে বিদ্যালয়গুলোতে কমে গেছে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার। এ অবস্থায় প্রাথমিকে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার কমাতে এবং দরিদ্র এলাকার শিক্ষার্থীদের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে দ্রুত স্কুল ফিডিং কার্যক্রম চালুর দাবি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দেশের উত্তরাঞ্চলের সীমান্তঘেঁষা ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদীবেষ্টিত জেলা কুড়িগ্রাম। এই জেলায় ১ হাজার ২৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের মধ্যে সাড়ে ৪ শতাধিক স্কুল চরাঞ্চলে অবস্থিত। ২০০২ সাল থেকে জেলার ৯ উপজেলার সব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর হার বাড়াতে এবং শিক্ষার্থীদের পুষ্টির ঘাটতি পূরণে চালু করা হয় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি।

এই কর্মসূচির আওতায় টিফিনের সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ৭৫ গ্রাম ওজনের পুষ্টিমানসম্পন্ন এক প্যাকেট করে বিস্কুট দেওয়া হতো। স্কুল ফিডিং কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় জেলায় প্রাথমিকে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার কমেছে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত। এ অবস্থায় দ্রুত সময়ের মধ্যে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম চালু করা প্রয়োজন। এতে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার বাড়ার পাশাপাশি ঝরে পড়ার হার কমে আসবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের খেয়ার আলগার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আব্দুর রহিম বলেন, ‘আগে আমাদের টিফিনের সময় বিস্কুট দেওয়া হতো। এখন দেওয়া হয় না। তাই দুপুরের পর খিদে লেগে যাওয়ায় আমরা ক্লাসে মনোযোগী হতে পারছি না।’

এ বিষয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বলেন, ‘বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে মনোযোগ বাড়াতে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছিল। কিন্তু হঠাৎ করে এই কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুপুরের পর শিক্ষার্থীরা আর ক্লাসে মনোযোগী হতে পারছে না।’

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের চর উদনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বাবলু মিয়া বলেন, ‘স্কুল ফিডিং কার্যক্রম আবারও চালু হলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার বেড়ে যাবে। আমার বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ২৬২ জন। এর মধ্যে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকছে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী। করোনায় দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ ও স্কুল ফিডিং কার্যক্রম প্রায় চার মাস বন্ধ থাকা শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতির জন্য কিছুটা দায়ী।’

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার কানিজা আক্তার বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ দেড় বছর বিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকার পর গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে খুলে দেওয়া হয়। বিদ্যালয় খোলার পর প্রথম দিকে শিক্ষার্থীর হার একটু বেশি থাকলেও স্কুল ফিডিংয়ের বিস্কুট না দেওয়ায় দিনে দিনে কমে যাচ্ছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। স্কুল ফিডিং কার্যক্রম চালু হলে শিক্ষার্থীর হার আরও বাড়বে।’

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের দরিদ্রতম জেলা হিসেবে কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০০২ সাল থেকে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম চালু করা হয়। স্কুল ফিডিং কার্যক্রম চালুর জন্য বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব খাদ্য সংস্থার মধ্যে চুক্তিও হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন শারীরিক পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে ক্লাসে মনোযোগী করতে দ্রুত স্কুল ফিডিং কার্যক্রম চালু হবে।’সূত্র : আজকের পত্রিকা

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.