শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:৪০ am
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌরসভায় রাত পোহালেই ভোট। (৩০ জানুয়ারী) শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। ইতিমধ্যেই ভোট গ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
প্রত্যেক কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের সকল সরঞ্জামাদি পৌঁছে গেছে। সুষ্ঠভাবে ভোট গ্রহণে মাঠে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি র্যাবও দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া কেন্দ্রগুলোতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ থাকবে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়। এ পৌরসভায় প্রায় ১৮ হাজার ভোটার রয়েছে। এখানে আ’লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকলেও মূলত লড়াই হবে আ’লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর মধ্যে।
জানা গেছে, এই পৌরসভা নির্বাচনে মেয়রপদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। আর সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৩ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩২ জন প্রার্থী রয়েছেন। পৌরসভায় বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন ফিরোজ কবির আর আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন আমির হোসেন আমিন ও আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) জগ প্রতীক নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সদ্য বহিষ্কৃত মুন্ডুমালা পৌর আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান।
তবে, আ’লীগের প্রার্থী আমির হোসেন আমীন নেতাকর্মী নিয়ে প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন। সম্প্রতি স্থানীয় সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না ছাড়াও নেতাকর্মী আর ভোটারের সমর্থনে অনেকটাই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী আমীন। আর বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদুর রহমানের কাছ থেকে তার কর্মী সমর্থকরা সরে পড়ায় পরাজয়ের আশঙ্কায় রয়েছেন তিনি।
কিন্তু নির্বাচনে বিএনপির বিদ্রোহী কোন প্রার্থী না থাকায় ফুরফুরে ইমেজে রয়েছেন ফিরোজ কবির। প্রচার-প্রচারণায় তিনি পৌরসভার উন্নয়নে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এবারে ভোটের লড়াইয়ে নামতে পেরে নেতাকর্মীরাও উচ্ছ্বসিত ছিল। আর আ’লীগ প্রার্থীর বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় ফিরোজ অনেকটা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। এছাড়াও এবার ওই পৌরসভায় জামায়াতের প্রার্থী না থাকায় তিনি জামায়াতের ভোটও পাবেন বলে আশা করছেন।
এব্যাপারে উপজেলা রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, মুন্ডুমালা পৌরসভা নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যে ১০টি ভোট কেন্দ্র সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোকে আলাদা দৃষ্টিতে রাখা হয়েছে। ভোট শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ থাকবে। এছাড়াও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মাঠে থাকবে, র্যাব, পুলিশের পাশিাপাশি বর্ডার গার্ড ও আনসার সদস্যরাও। আজকের তানোর