শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৪০ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক, গোদাগাড়ী : রাজশাহীর গোদাগাড়ীর চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নে শেষ পর্যন্ত নৌকার কোনো প্রার্থী থাকল না। মনোনয়ন ‘কারসাজি’ করতে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
এই ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের নেতাদের মনোনয়ন কারসাজিকে দায়ী করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সুপারিশক্রমে কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলামকে। কিন্তু গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন শহিদুল দলের কাছে মনোনয়নই চাননি।
শহিদুলের ছেলে নাদিমুল ইসলাম জানান, তার বাবা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত। তিনি গুরুতর অসুস্থ। এ কারণে দলের কাছে তিনি মনোনয়নই চাননি। দলেরই কেউ হয়তো তার নামে দলীয় মনোনয়ন জমা দেওয়ায় কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড আমার বাবাকে মনোনয়ন দিয়েছে। কিন্তু যেহেতু বাবা নির্বাচন করার মতো অবস্থায় নেই তাই আমরা রোববার দাখিলের শেষদিনে রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিইনি।
এদিকে মো. শহিদুল ইসলাম নির্বাচন করতে পারবেন না জেনে রাজশাহী-১ আসনের সংসদ্য ওমর ফারুক চৌধুরী কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডের কাছে শহিদুলের বদলে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনিকে মনোনয়ন দেওয়ার সুপারিশ দেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় বোর্ড চর আষাড়িয়াদহের মনোনয়ন সংশোধন করেনি। আর এ কারণে চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় কোনো প্রার্থী থাকল না।
এদিকে গত রোববার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিনে চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেননি বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মশিউর রহমান।
তিনি বলেন, যুবলীগ নেতা মনির স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। চেয়েছেন আনারস প্রতীক। এই ইউনিয়নে চারজন প্রার্থীর সবাই স্বতন্ত্র হয়ে মনোনয়ন দাখিল করেছেন।
চর আষাড়িয়াদহে দলীয় প্রার্থী শূন্য হওয়া প্রসঙ্গে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও প্রার্থী বাছাই কমিটির সমন্বয়ক অধ্যক্ষ একরামুল হক এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। আজকের তানোর