রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:৫৪ am
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইয়েমেনের আবেদিয়া অঞ্চলে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোটের সামরিক অভিযানে ১৬০ হুতি বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন। এছাড়াও তাদের ১১টি সামরিক যান ধ্বংস করা হয়েছে। শনিবার (১৬ অক্টোবর) সৌদি জোট জানায়, গেল ২৪ ঘণ্টায় মারিবের আবেদিয়া জেলায় হুতিদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে ৩২টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।-খবর আল-আরাবিয়ার
২৩ সেপ্টেম্বর থেকে আবেদিয়া অঞ্চলটি হুতিদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এতে বেসামরিক লোকজনের চলাচল ও মানবিক সহায়তা ব্যাহত হচ্ছে। এর আগে বুধবার মারিবের দক্ষিণাঞ্চলে সৌদি জোটের বিমান হামলায় শতাধিক বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন। এছাড়া সোমবার ১৫৬ জন ও মঙ্গলবার ১৩৪ জনের বেশি বিদ্রোহীর প্রাণহানি ঘটেছে।
চলতি সপ্তাহে অঞ্চলটিতে প্রায় ৫০০ বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন। যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, সেখানে বিদ্রোহীদের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। শিয়া হুতিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সৌদি বাহিনীকে বিমান হামলার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কীভাবে তারা এই হতাহতের সংখ্যা নির্ধারণ করেছে, তা স্পষ্ট করে উল্লেখ করেনি।
ইয়েমেনে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সরকারের সর্বশেষ ঘাঁটি মারিবে তীব্র লড়াইয়ে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটছে। গেল মাস থেকে অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নিতে অভিযান শুরু করেছে হুতিরা।
মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় শিয়া বিদ্রোহীরা জানায়, তারা শহরের প্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষক অ্যাডম বারোন বলেন, হুতিরা উল্লেখযোগ্য ভূখণ্ডগত বিজয় অর্জন করেছে। কৌশলগত ও মানসিকভাবে এটা গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। বছরখানেক আগেও অঞ্চলটিকে অনেক নিরাপদ ভাবা হয়েছিল।
সাত বছরের যুদ্ধে ইয়েমেনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। ২০১৪ সালে মারিবের ১২০ কিলোমিটার পশ্চিমে রাজধানী সানার নিয়ন্ত্রণ নেয় হুতিরা। এরপর থেকে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বিমান হামলা শুরু করেছে।
এতে হাজার হাজার ইয়েমেনি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কয়েক লাখ। দেশটি এখন দুর্ভিক্ষের কিনারে গিয়ে ঠেকেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। আজকের তানোর