সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:৫৫ am
ডেস্ক রির্পোট : নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
রোববার সাউথ এশিয়া ইয়ুথ ফর পিস অ্যান্ড প্রসপারিটি সোসাইটির উদ্যোগে ‘নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে তিনি এ আহ্বান জানান।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সাজ্জাদুল হকের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে আরও বক্তব্য দেন- নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান সাইফুদ্দীন আহমেদ প্রমুখ।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, কেবলমাত্র আইনের মাধ্যমেই নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা যাবে না। ঘুনেধরা নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় দলীয় সরকারের অধীনে কোনোভাবেই নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করা যায় না। বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চার ইতিহাস সুদীর্ঘ নয়। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্য রাষ্ট্রীয় অঙ্গগুলো ঘুনেধরা এবং দুর্নীতিগ্রস্ত। আগামীতে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার। তাই যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে বর্তমান দলীয় সরকারের পতনের আন্দোলনে সবাইকে রাজপথে নামতে হবে।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বাংলাদেশের জনসাধারণ যেভাবে শক্তিশালী, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে চান- তা কখনোই বর্তমান আওয়ামী সরকারের দ্বারা পূরণ হবে না। এই বিষয়ের সমাধান রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করতে হবে।
সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি একটি প্রহসন মাত্র, যার মাধ্যমে মূলত সরকার দলের পছন্দের লোকজন কমিটিতে জায়গা পান। এর মাধ্যমে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো তাদের রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ করার সুযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।
আ ন ম এহসানুল হক মিলন বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশনার কারা হবেন- তা সাংবিধানিকভাবে সংসদে পাশ হতে হবে। সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের জন্য যে আইন আছে, বর্তমান দলীয় সরকারের আজ্ঞাবহ এই নির্বাচন কমিশন সে আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ এবং পালন করতে পারছে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের টিকা হলো নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকার ও নির্বাচন কমিশন। সূত্র : যুগান্তর