রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:১৭ am
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌরসভা নির্বাচনে বংালাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা মনোনীত মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন সাইদুর রহমান। তিনি মুন্ডুমালা পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। কর্মজীবনে টোকাই থেকে হাটের কুলি। বর্তমানে মুন্ডুমালা মহিলা কলেজের নৈশপ্রহরী। বাড়ি পৌর সদরের মুন্ডুমালা মহল্লায়।
এনিয়ে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের হোসেন জানান, তানোর আ’লীগের সভাপতি ও বর্তমান মেয়র গোলাম রাব্বানীর ছত্রছায়ায় বেড়ে উঠে মুন্ডুমালা পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে জায়গা করে নেন সাইদুর। এমন একজন ব্যক্তি মেয়রপদে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় ওই এলাকার পাড়া মহল্লায় মুখরুচক আলোচনা ও সমলোচনা বইছে।
আওয়ামী লীগ কর্মী আরিফ হোসেন বলেন, এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নৈশ প্রহরী সাইদুরের চ্যালেঞ্জ করার সামিল। কারণ কাঁকনহাট পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতা মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল মজিদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তার মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। কিন্তু বিজয়ের উজ্জ্বল সম্ভানা থাকার পরও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদের সম্মান, দল এবং নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করে সেচ্ছায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন তিনি। অথচ একজন নৈশপ্রহরী কি জাদুর বলে এমন দুঃসাহস দেখান? আমাদের বোধগম্য নয় বলে জানান আরিফ।
তথ্যানুন্ধানে জানা গেছে, মুন্ডুমালা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়রপদে মনোনয়ন প্রত্যাশা করে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের প্রায় ১০ জন দলীয় প্রার্থী মাঠে নামেন। তবে, সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত মুন্ডুমালা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বারবার নির্বাচিত কাউন্সিলর আমির হোসেন আমিনকে মেয়রপদে মনোনয়নপত্র দেয়া হয়। আর বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন ফিরোজ কবির। তিনি তানোর বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য। আগামী ১১ জানুয়ারী প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। এই নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩০ জানুয়ারী।
ফলে নৌকার বিজয়ে এই প্রার্থীকেই সাইদুরসহ স্থানীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা তাৎক্ষণিক মেনে নেন। কিন্তু একদিন পরেই গত ৩১ ডিসেম্বর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাইদুর মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এনিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীর মাঝে সমালোচনা ও ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সৃস্টি হয়েছে।
মুন্ডুমালা পৌরসভার নাগরিক জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শরীফ খাঁন বলেন, আমিও মেয়রপ্রার্থী ছিলাম। কিন্তু দল তাকে মনোনয়ন না দেওয়ায় প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন তিনি। তবে, দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সাইদুর রহমান নির্বাচন করলে আমরা মেনে নেব না। আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে সাইদুর প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করলে তাকে দল থেকে বহিস্কারের জন্য আমরা হাইকমান্ডের নিকট অভিযোগ জানাবো।
তবে এব্যাপারে সাইদুর রহমান বলেন, এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন। দলের মনোনয়ন তার দরকার নেই। তার প্রতি জনগণের আস্থা আছে। ফলে স্বতন্ত্র প্রাথী হতে কোনো বাধা নেই বলে দম্ভোক্তি করেন সাইদুর।