রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:৫১ am
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ফের ফ্লাইট চালু হওয়ায় হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন কলকাতার ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশি ক্রেতাদের হাত ধরে দুর্গাপূজা সামনে রেখে সেখানকার ব্যবসা-বাণিজ্য আবারও জমজমাট হয়ে উঠবে বলে আশা করছেন তারা।
ভারতে করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ প্রকট আকার ধারণ করায় গত এপ্রিলে দুই দেশের মধ্যে উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে মাথায় হাত পড়ে কলকাতার নিউমার্কেট, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, মারকুইস স্ট্রিট, লিন্ডসে স্ট্রিট, পার্ক স্ট্রিটের ব্যবসায়ীদের। এসব এলাকার দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো অনেকাংশেই বাংলাদেশি ক্রেতাদের ওপর নির্ভরশীল।
মারকুইস স্ট্রিটে একটি পোশাকের দোকানের মালিক সুনীল মাহাতো টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানান, তার ব্যবসা বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ক্রেতাদের একটি অংশের ওপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল, যারা ঈদ ও পূজা সামনে রেখে উৎসবের মৌসুমগুলোতে কেনাকাটার জন্য ভারতে যান। তিনি আরও বলেন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে গত কয়েক মাসের ব্যবসা একেবারে ধুয়ে গেছে।
নিউমার্কেট এলাকার এক দোকানমালিক জানান, তার প্রতিষ্ঠানের প্রায় অর্ধেক বিক্রি বাংলাদেশি ক্রেতাদের ওপর নির্ভরশীল। বোম্বে সিল্ক স্টোরের মালিক বিনয় মঙ্গলানি বলেন, অনেক বাংলাদেশি তাদের রোগীদের নিয়ে মেডিকেল ভিসায় কলকাতায় আসেন। আমার ক্রেতাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ তারাই।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউয়ের খবর অনুসারে, কলকাতা নিউমার্কেটে বেচাকেনায় বাংলাদেশিদের অবদান প্রায় ৫০ শতাংশ। এছাড়া সুডার স্ট্রিট, মারকুইস স্ট্রিট, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, রয়েড স্ট্রিট, রাফি আহমেদ কিদওয়াই রোডের হোটেল, গেস্ট হাউস, ফরেন এক্সচেঞ্জ আউটলেটগুলোর ব্যবসায় ৭০ শতাংশ এবং ওইসব এলাকার পরিবহন ব্যবসায় ৮০ শতাংশ অবদান রাখেন বাংলাদেশি ভ্রমণকারীরা।
সুডার স্ট্রিটের ওরিয়েন্টাল হোটেলের ব্যবস্থাপক মীর আশরাফ আলি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানান, করোনা আসার আগে পূজার সময়ে বাড়তি খদ্দের সামলাতে তাকে অন্য গেস্ট হাউসগুলোর সঙ্গে চুক্তি করতে হতো। কিন্তু মহামারিতে খদ্দের না থাকায় ব্যবসার মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।
গত বছর বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সই হওয়া এয়ার বাবল চুক্তির ভিত্তিতে দুই দেশের মধ্যে ফ্লাইট চলাচল ফের শুরু হয়েছে গত রোববার (৫ সেপ্টেম্বর)।
প্রায় চার মাস বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ফ্লাইট চলাচল ফের শুরু হয়েছে গত রোববার (৫ সেপ্টেম্বর)। দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত ফ্লাইট চলাচল শুরু না হওয়া পর্যন্ত এয়ার বাবল চুক্তির আওতায় চলাচল করবে এসব ফ্লাইট। এয়ার বাবল চুক্তি হচ্ছে—এক গন্তব্য থেকে আরেক গন্তব্যে সরাসরি ফ্লাইট। অর্থাৎ পথিমধ্যে কোথাও ট্রানজিট হবে না।
জানা যায়, ভারত সরকার তাদের তিনটি এয়ারলাইন্সকে সপ্তাহে সাতটি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে প্রতি সপ্তাহে স্পাইস জেট তিনটি এবং ইনডিগো ও এয়ার ইন্ডিয়া দুটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
এসময় ভারত থেকে যারা বাংলাদেশে আসবেন, তাদের বাংলাদেশ সরকার নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসতে হবে। আর যারা বাংলাদেশ থেকে ভারত যাবেন, তাদের ভারতীয় বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর নিজ খরচে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভারত থেকে আসা যাত্রীরা ‘বিজনেস ভিসা’ নিয়ে বাংলাদেশে আসতে পারবেন। আসার পর তাদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। আজকের তানোর