সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:৪৭ am
ডেস্ক রির্পোট : দল গোছানোর কাজে গতি ফেরাতে চায় আওয়ামী লীগ। করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার হ্রাস পেলে আগামী ৪ মাসে মেয়াদোত্তীর্ণ ৪৩টি জেলা সম্মেলন করার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির। পাশাপাশি উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড সম্মেলনও শেষ করতে চায় ক্ষমতাসীন দল। এ জন্য সেপ্টেম্বরে দলটির বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা মাঠে নামছেন।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা জানান, দলের আগামী জাতীয় সম্মেলন এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একেবারে তৃণমূল পর্যন্ত দলকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। করোনার কারণে মাঝে এ কাজে কিছুটা স্থবিরতা এলেও এখন নতুন করে পুরো উদ্যোমে কাজ শুরু করা হবে।
জানা গেছে, আট বিভাগে আওয়ামী লীগের ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ৪৩টি এখনো মেয়াদোত্তীর্ণ। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৫টি, চট্টগ্রামের সাতটি, ময়মনসিংহের পাঁচটি, রাজশাহীর চারটি, বরিশালের চারটি, রংপুরের তিনটি, খুলনার চারটি এবং সিলেট বিভাগের একটি সংগঠনিক জেলা মেয়াদোত্তীর্ণ।
অন্যদিকে, সারা দেশে আওয়ামী লীগের উপজেলা, থানা ও পৌর কমিটির সংখ্যা প্রায় ৬৫০ মতো। এরমধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৬০টি, চট্টগ্রামে ১২৯টি, রাজশাহীতে ৮৩টি, খুলনায় ৭৪টি, রংপুরে ৬৬টি, বরিশালে ৫৩টি, সিলেটে ৪৯টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৯টির মতো কমিটি রয়েছে।
জাতীয় সম্মেলনের আগে ১৩৮টির মতো উপজেলা, থানা ও পৌরসভা কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের পরও বেশ কিছু উপজেলা, থানা ও পৌরসভা কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তবে সাড়ে ৬৫০ কমিটির মধ্যে এখনো ৩৫০ অধিক কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। এছাড়া সম্মেলন হওয়া কমিটির অর্ধেকের বেশির পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি।
রাজশাহী বিভাগে আওয়ামী লীগের আটটি জেলা ও একটি মহানগর রয়েছে। এখানে চারটি জেলা মেয়াদোত্তীর্ণ। এ বিভাগে ৮৩টি উপজেলার সমমর্যাদার কমিটি রয়েছে। এরমধ্যে ইতোমধ্যে ২৭টির সম্মেলন হয়েছে। বাকি ৫৬ উপজেলার সম্মেলনের কাজ চলছে।
রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন, আরও ১৫-২০টা উপজেলার সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু করোনার কারণে আমরা সেগুলো করতে পারিনি। আশা করছি- সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে সব থানা-উপজেলা এবং ডিসেম্বরের মধ্যে সব জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও কমিটি গঠনের কাজ শেষ করতে পারব।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, অবশিষ্ট জেলাগুলোর সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছিল। বিভাগীয় কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। তারা কাজও শুরু করেছিলেন।
কিন্তু করোনার কারণে কিছু করা যায়নি। ইতোমধ্যে যোগাযোগ শুরু হয়েছে। সাংগঠনিক সম্পাদকরা কাজ করছেন। আশা করছি- সেপ্টেম্বরে করোনা সংক্রমণ আরও কমে আসলে আবারও সম্মেলনের কাজ আমরা শুরু করতে পারব। তবে আমরা যা করার অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে করব।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কাজ কিন্তু বন্ধ ছিল না। করোনার শুরু থেকে আমাদের দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমি মনে করি- রাজনৈতিক দলের জন্য এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক কাজ। আজকের তানোর