শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:৩১ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা : রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের জলমগ্ন এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন পল্লী চিকিৎসক ইসমাইল হোসেন। ডাক এলেই টিনের তৈরি ডিঙি নিয়ে ছুটে যান জলমগ্ন এলাকার অসুস্থদের পাশে।
জানা যায়, উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নে পরিবার রয়েছে ৩ হাজার ৭৬২টি। জনসংখ্যা প্রায় ১৭ হাজার। নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় চরের অধিকাংশ বাড়িতে পানি উঠেছে। এর মধ্যে কেউ কেউ উঁচু মাচা করে নিজ বাড়িতে বসবাস করছেন। আবার অনেকে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
ইসমাইলের দিয়াড়কাদিরপুর বাজারে একটি দোকান রয়েছে। বাজারটিও বন্যায় তলিয়ে গেছে। তবে তার দোকানটা কিছুটা উঁচু জায়গায় হওয়ায় ভেতরে পানি প্রবেশ করেনি। এই দোকানে নিয়মিত বসেন তিনি, চিকিৎসাও দেন। তার দোকানে কেউ না আসতে পারলে তাকে মোবাইল ফোনে জানালে সঙ্গে সঙ্গে ডিঙি নৌকা নিয়ে ওই অসুস্থ ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা দেন। তবে ইসমাইল ওষুধের দাম ছাড়া অতিরিক্ত টাকা নেন না। তার সঙ্গে থাকে একটি ব্যাগ। ব্যাগের মধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেওয়ার যাবতীয় সরঞ্জাম থাকে।
ইসমাইল হোসেন পদ্মার মধ্যে দিয়াড়কাদিরপুর চরের আবদুস সামাদের ছেলে। তিনি পল্লীচিকিৎকের কোর্স করে এই বাজারে ১৩ বছর পল্লী চিকিৎসক হিসেবে সেবা দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর (দিয়াড়কাদিরপুর) ওয়ার্ড মেম্বর জালাল উদ্দিন জানান, পল্লী চিকিৎসক হিসেবে দীর্ঘদিন থেকে দিয়াড়কাদিরপুর বাজারে মানুষের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন ইসমাইল। তিনি রোগী দেখে অতিরিক্ত মূল্য নেন না। তিনি শুধু ওষুধের দাম নেন।
চকরাজাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি সোলেমান হোসেন জানান, চৌমাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে দিয়াড়কাদিরপুর বাজার। এই বাজারে একটি ওষুধের দোকান দিয়ে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন ইসমাইল।
পল্লী চিকিৎসক ইসমাইল হোসেন বলেন, আমি শুধু টাকার জন্য চিকিৎসা দিই না। আমার দ্বারা মানুষ উপকার পায়। আমাকে যখন অসুস্থ মানুষ ডাকে সঙ্গে সঙ্গে তার বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করি। তবে আমার ৫ সদস্যের পরিবার রয়েছে। আমি এই কাজ করে সংসার পরিচালনা করি। তবে কারও কাছে কোনোদিন অতিরিক্ত টাকা নিইনি। আমি শুধু দিয়াড়কাদিরপুর বাজার এলাকায় না, চৌমাদিয়া, আতারপাড়া, উদয়নগর, মানিকের চর এলাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সামান্য ডিঙি নিয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছি।
চকরাজাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আজিজুল আযম জানান, ইসমাইলকে আমি চিনি। তিনি দীর্ঘদিন থেকে এলাকার মানুষকে চিকিৎসা দেন। জলমগ্নচরের মানুষ অসুস্থ হলে প্রাথমিক পর্যায়ে তার কাছে চিকিৎসা নেয়। জটিল হলে অন্যত্র যাওয়ার পরামর্শ দেয়। তবে প্রাথমিক চিকিৎসা সে ভালো করে। আজকের তানোর