রবিবর, ১০ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:০১ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক : আষাঢ়ের টানা বর্ষণে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা আর শিবগঞ্জে পদ্মায় আর মহানন্দায় পানি বেড়েই চলেছে। ফলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতিতে অন্তত ৫০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পদ্মা ও মহানন্দার প্রভাবে পাগলা নদীতে পানি বাড়ায় সদ্য নির্মাণাধীন ৫০টি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে।
এছাড়াও ওই এলাকাগুলোতে প্রায় ১৮২ হেক্টর জমির ফসল সবজি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলো নিম্ন অঞ্চল হওয়ায় প্লাবিত হয়েছে।
মঙ্গলবার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, ১৬৭ হেক্টর আউশ ধান আর ১২ হেক্টর শাকসবজি, ৩ হেক্টর অনান্য ফসলসহ মোট ১৮২ হেক্টর জমিতে হওয়া ফসল ও শাকসবজি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শাজাহানপুর, নারায়ণপুর, আলাতুলি, চড়বাগডাংগা আর শিবগঞ্জ উপজেলার দূর্লভপুর, পাকা ও উজিরপুর এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সদর উপজেলার নারায়ণপুর ও চড়বাগডাংগা এবং শিবগঞ্জের দূর্লভপুর আর পাকা ইউনিয়ন।
শিবগঞ্জ উপজেলার দূর্লভপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা সাইদুর রহমান জানান, তার ১০ বিঘা জমিতে ধান আবাদ করা হয়েছে। যার মধ্যে ৬ বিঘা জমির ধান ইতোমধ্যেই তলিয়ে গেছে। তিনি জানান, তার আশপাশের ৫ গ্রামের কমপক্ষে ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।
আর পাঁকা এলাকার সোহেল নামের একজন কৃষক জানান, তার এলাকায় পদ্মা নদীতে আকস্মিক পানি বাড়ায় প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি। উজিরপুর এলাকার সাইফ খান তোতা জানালেন, পদ্মায় পানি বাড়ায় সেখানের ৩-৪ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
অপরদিকে পাগলা নদী তীরবর্তী তর্ত্তিপুর এলাকায় নির্মাণধীন ৫০ টি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে করে ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে।
এছাড়াও নদীর বিপরীত দিকে সদ্য নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরগুলোতে বসবাসকারীরা আতঙ্কে রয়েছেন। পদ্মা ও মহানন্দার পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করলে তাদের বাড়ি গুলো ডুবে যাবার আশংকা করছেন।
দেবিনগর এলাকার সাদিরুল ইসলাম নামের এক শিক্ষক জানান, তার এলাকায় মহানন্দার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি।
অন্যদিকে শাজাহানপুর এলাকার আব্দুস সালাম নামের এক কৃষক জানান, তার ৩ বিঘা ধানি জমি পদ্মার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এলাকাতে পানি বাড়ায় ৫-৭ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, এখনও প্রধান ২ নদী মহানন্দা ও পদ্মার পানি বিপদ সীমার নিচে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মায় ১০ সেন্টিমিটার ও মহানন্দায় ১১ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। বর্তমানে পদ্মায় ২২ দশমিক ৬ মিটার ও মহানন্দায় ২০ দশমিক ৪৫ মিটার পানি রয়েছে। বর্তমানে পদ্মায় ২২ দশমিক ৫০ মিটার ও মহানন্দায় ২১ দশমিক ৫০ মিটার বিপৎসীমা ধরা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কয়েকদিনের মধ্যে পদ্মার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে তবে মহানন্দা নদী তার বিপৎসীমা অতিক্রম করতে এখনও অনেক সময় লাগবে।
এছাড়াও কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল এলাকাগুলো পানিতে ডুবে যওয়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার পরিবার। আজকের তানোর