শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:৫৬ pm
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানে তালেবান শাসনামলের ইতিহাস স্মরণ করে ভয়ে কাঁপছে দেশটির নারীরা। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের ওই সময়টিতে আফগান নারীদের জন্য বোরকা পরা বাধ্যতামূলক ছিল।
ওইসময় দেশটির নারীদের চাকরি করা নিষিদ্ধ ছিল। পুরুষ অভিভাবক ছাড়া নারীরা ভ্রমণে যেতে পারতেন না। এমনকি ১২ বছরের বেশি বয়সি মেয়েদের পড়াশোনার অনুমতি ছিল না। ফের তালেবানের রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে সেসব দু:সহ স্মৃতি ঘুরপাক খাচ্ছে আফগান নারীদের মধ্যে। যে কারণে গত কয়েকদিন ধরে বোরকা কেনার হিড়িক দেখা গেছে রাজধানী কাবুলে।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে নারীদের জন্য বোরকা পরা বাধ্যতামূলক নয় বলে জানিয়েছেন তালেবানের মুখপাত্র সুহাইল শাহিন। কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবান দপ্তরের এই মুখপাত্র বলেছেন, ‘তালেবান আমলে আফগানিস্তানে নারীদের জন্য বোরকা পরা বাধ্যতামূলক নয়। বাইরে বের হওয়ার সময় তাদের হিজাব পরলেই চলবে।’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আফগানিস্তানে তালেবানের পুনরুত্থানে নারীদের মধ্যে যে ভীতি বেড়েছে তা অনর্থক জানিয়ে সুহাইল শাহিন বলেন, ‘পুরো শরীর ঢাকা বোরকা নয়, নারীরা মাথায় হিজাব পরেছেন কিনা সেটা পর্যবেক্ষণ করা হবে। তালেবান শাসনামলে এবার মেয়েরা প্রাথমিক থেকে উচ্চস্তর পর্যন্ত শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে।নারীদের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পড়াশোনা করার সুযোগ থাকবে। এটা কোনো নতুন কথা নয়, নারী শিক্ষার বিষয়ে আমাদের এমন নীতির কথা আমরা মস্কো ও দোহা সম্মেলনেও বলেছি। আফগানিস্তানে তালেবানের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকাগুলোয় হাজারো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চালু আছে। সেখানে মেয়েরা পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে।’
একই ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছেন তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ।
কাবুল নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর মঙ্গলবার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘বিশ বছর আগের তালেবানের সাথে আজকের তালেবানের বিশাল তফাত রয়েছে। আমরা ২০ বছর আগের তালেবান নই। সময়ের প্রেক্ষিতে আমাদের নে্ওয়া পদক্ষেপ ও সিদ্ধান্তগুলোতে অনেক পার্থক্য দেখা যাবে। আর এটা বিবর্তনের ফসল।’
এমনকি সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমে আফগান নারীরা যোগ দিতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন তালেবান নেতারা। বাহিনীটির সাংস্কৃতিক কমিশনের সদস্য ইনামুল্লাহ সামানগানি বলেছেন, ‘ইসলামিক আমিরাত নারীরা ক্ষতির শিকার হোক, তা চায় না। শরিয়াহ আইন অনুযায়ী সরকারে তাদের উপস্থিতি থাকা উচিত। এখানে পুরোপুরি ইসলামিক নেতৃত্ব থাকবে। এতে সব পক্ষেরই যোগ দেওয়া উচিত।’ সূত্র : যুগান্তর