শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:৪৩ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক, চারঘাট : রাজশাহীর চারঘাটে হাসপাতাল কিংবা পৌরসভায় কুকুর বিড়ালের কামড়ে হওয়া জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক এআরভি (অ্যান্টি র্যাবিস ভ্যাকসিন) ভ্যাকসিন সরবারহ নেই। যার ফলে ভ্যাকসিনের জন্য প্রতিদিনই হাসপাতাল এবং পৌরসভা কার্যালয়ে কুকুরের কামড়ে আহত লোকজন এলেও বিনা মূল্যে সরকারি ভ্যাকসিন মিলছে না। এতে চরম বেকায়দায় পড়েছেন এ উপজেলার মানুষ।
জানা যায়, কুকুর নিধন উচ্চ আদালত (হাইকোর্ট) বন্ধ করে দেয়ায় পাড়া মহল্লায় ঝাঁকে ঝাঁকে বেড়েই চলছে বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা। এসব কুকুরের কামড়ে যেন জলাতঙ্ক রোগ না ছড়ায় সেজন্য নেয়া হয়েছিল কুকুরকে ভ্যাকসিন (টিকা) দেয়ার কর্মসূচি। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সেই কর্মসূচিও বন্ধ হয়ে গেছে।
একের পর এক কুকুরের কবলে পড়ে জলাতঙ্কের ঝুঁকি ও কুকুরাতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, টিকা সরবারহ না থাকায় বর্তমানে সাময়িকভাবে ওই কর্মসূচি বন্ধ রয়েছে।
এদিকে কুকুরের সংখ্যা কত বৃদ্ধি পেয়েছে, উপজেলা কিংবা পৌরসভায় তার কোন পরিসংখ্যান নেই। অলিতে গলিতে কুকুরের অত্যাচারে পথচারীরা এখন আতঙ্কে রয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, চারঘাটে গত দুই বছরে কুকুরের কামড়ে তিন শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। সর্বশেষ গত তিন মাসে কুকুরের কামড়ের শিকার হয়েছে অর্ধশতাধিক মানুষ। এর অধিকাংশ শিশু। সম্প্রতি পৌর শহরের সরদহ এলাকায় এক দিনে একটি কুকুর অন্তত ৭ জনকে কামড় দেয়। ওই রোগীদের জলাতঙ্ক রোগে টিকা নিতে হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আশিকুর রহমান বলেন, ‘ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন নেই। যারা কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে আমাদের কাছে আসে, তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে ভ্যাকসিন নিতে পরামর্শ দিই। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টিকা সরবারহ রয়েছে।’
এ ব্যাপারে চারঘাট পৌরসভার সচিব রবিউল ইসলাম বলেন, পাগলা কুকুর নিধনের কর্মসূচি আমাদের থাকে। তবে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞায় থাকায় বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তারপরও বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। আর কুকুরে কামড়ের ভ্যাকসিন সরবারহ নেই। আজকের তানোর