শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:০১ pm
আজকের তানোর ডেস্ক : আফগানিস্তানের ক্ষমতা তালেবানের হাতে যাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আফগানরা যে সরকার গড়বে, তা বাংলাদেশও মেনে নেবে। গোঁড়া ইসলামী গোষ্ঠী তালেবান আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখলের পরদিন সোমবার ঢাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নে বাংলাদেশের অবস্থান প্রকাশ করেন তিনি।
তালেবান ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনীর অভিযানে তারা উৎখাত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অবশিষ্ট সৈন্যও আফগানিস্তান ছাড়তে শুরু করায় সশস্ত্র তালেবান গোষ্ঠী আবারও দেশটির ক্ষমতা দখল করেছে। তারা আগের মতো আফগানিস্তানে ‘ইসলামী আমিরশাহি’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণাও দিয়েছে।
তালেবান ক্ষমতায় আসায় ঢাকা-কাবুল সম্পর্কে প্রভাব পড়বে কি না- এ প্রশ্নে মোমেন বলেন, “দেখেন, আফগানিস্তান সার্কের সদস্য, আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। আমরা চাই, তাদেরও উন্নতি হোক। আমরা সবাইকে নিয়ে সবার উন্নয়ন করতে চাই। নতুন যে সরকারই আসুক, সেটা যদি জনগণের সরকার হয়, তাহলে আমরা তাকে গ্রহণ করব।”
আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা দখলে পশ্চিমা দেশগুলো উদ্বেগ জানিয়েছে। তবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কণ্ঠে দেখা গেছে ভিন্ন সুর। তিনি বলেছেন, আফগানরা ‘দাসত্বের শৃঙ্খল’ ভেঙেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, “আমরা জনতার সরকারে বিশ্বাস করি, আমরা গণতান্ত্রিক সরকারে বিশ্বাস করি। সে দেশের মানুষের যেটা ইচ্ছা, তারা যেটা ইচ্ছা করে সরকার গঠন করে, তাতে বিশ্বাস করি। বাংলাদেশের সব সরকারের সাথে বন্ধুত্ব। যে সরকারই আমাদের থেকে সাহায্য সহযোগিতা চাইবে, আমরা তাদের সাহায্য সহায়তা দান করব। যদি তালেবান সরকার হয় এবং হয়েছে; এবং সেটা যদি জনগণের সরকার হয়, অবশ্যই তাদের জন্য আমাদের দরজা খোলা থাকবে,” বলেন তিনি।
আফগানিস্তানে বাংলাদেশের দূতাবাস নেই। উজবেকিস্তানে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর আলম একসঙ্গে আফগানিস্তান, কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তানে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে আছেন। বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতার শুরুটা আফগান তালেবানের হাত দিয়েই হয়েছিল বলে মনে করা হয়। আগের মতো এবারও কিছু বাংলাদেশি তালেবানে যোগ দিতে ঘর ছেড়েছে বলে সম্প্রতি জানান ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম।
এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মোমেন বলেন, “দেখুন, তালেবান না, কিছু সন্ত্রাসী আমাদের দেশে ছিল, তারা আফগান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছিল, আমরা সেগুলো উচ্ছেদ করেছি, আমাদের দেশে সে সন্ত্রাসী আর নাই। আমরা আশা করি, সেই সন্ত্রাসী আবার তৈরি হবে না।”