সমবার, ২৩ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:২৪ am

সংবাদ শিরোনাম ::
দেশের তিন জেলায় বজ্রপাতে ৯ জনের মৃত্যু ভারতীয় সঞ্চালন লাইনে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আনছে সরকার ট্রাইব্যুনাল গঠন ও ৮ দফা দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন নাচোলে গুজব প্রতিরোধে মানববন্ধন অনুষ্ঠতি অনলাইনে সরব, মাঠে নীরব আ.লীগ তানোর প্রেসক্লাব নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, প্রতিক বরাদ্দ ঢালাও মামলার কালচার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে : আসিফ নজরুল মোহনপুরে আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সমাবেশ অনুষ্ঠিত মসজিদের বিশেষ আদব ও শিষ্টাচার : হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী মোহনপুরে আ.লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সালাম গ্রেপ্তার, মিষ্টি বিতরণ দুদকের তালিকায় ১০০ ব্যক্তির সম্পদের পাহাড় গড়েছেন যারা আ.লীগ ১৪ দলীয় জোটের নেতা ও মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে ৭৫০ মামলা ঢাবিতে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিখোঁজের সাতবছর পর ছেলেকে ফিরে পেলেন উচ্ছ্বসিত মা তানোরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত রাসিকের সাবেক কাউন্সিলর মনসুরের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন সেই রুবেল আরও ৭ দিনের রিমান্ডে সিলেবাস সংক্ষিতের দাবিতে রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ পবায় উপজেলা প্রশাসনে ও কাটাখালি পৌরসভায় ভোগান্তি চিত্র নায়িকা পরীমণি পালন করলেন ‘বিবাহ বিচ্ছেদ’ দিন
দেশেই শুরু হচ্ছে করোনার টিকা উৎপাদন

দেশেই শুরু হচ্ছে করোনার টিকা উৎপাদন

ডেস্ক রির্পোট : দেশেই দ্রুত করোনাভাইরাসের (কোভিড ১৯) প্রতিষেধক টিকার উৎপাদন শুরু করার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। চীনের সহযোগিতায় ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির মাধ্যমে দেশেই এ টিকার উৎপাদন হবে।

তিনি বলেন, দেশে টিকা উৎপাদনের জন্য সোমবার (১৬ আগস্ট) চীনের সিনোফার্মের সঙ্গে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির আওতায় চীনের সিনোফার্মের এ টিকা দেশীয় ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের মাধ্যমে উৎপাদন করা (ফিল ফিনিশড) হবে। শুধু বেসরকারি পর্যায়েই নয়, সরকারিভাবেও করোনার টিকা উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ বিদেশেও টিকা রপ্তানি করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। এ চুক্তির মাধ্যমে একটি স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। দেশে টিকার উৎপাদন শুরু হলে দেশের মানুষকে বেশি বেশি টিকা দেয়া যাবে। সংক্রমণ ও মৃত্যু কমে যাবে। দেশের অর্থনীতি আরও সচল হবে। করোনা রোগীদের চিকিৎসাদানে স্বাস্থ্যসেবার ওপর চাপ কমবে।

সোমবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) মিলনায়তনে চীনের সিনোফার্মের সঙ্গে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারের পক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, চীনের সিনোফার্মের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তা লিথাং চুচিং চিং ও ইনসেপ্টার চেয়ারম্যান আবদুল মোক্তাদির চৌধুরী চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার শুরু থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা নিয়ন্ত্রণে পরামর্শ ও গাইডেন্স দিয়ে যাচ্ছেন। ওষুধপত্র ও চিকিৎসাসামগ্রীসহ যখন যেটা প্রয়োজন সেটা দিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশকে সব ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ এমনকি করোনা প্রতিষেধক টিকা তৈরির স্বপ্ন বাস্তবায়নে এ চুক্তি প্রধানমন্ত্রীর কারণেই সম্ভব হচ্ছে।

তিনি জানান, বাংলাদেশ এ পর্যন্ত মোট তিন কোটি ১০ লাখ ভ্যাকসিন পেয়েছে। তার মধ্যে প্রথম ডোজের এক কোটি ৫৪ লাখ ও দ্বিতীয় ডোজের ৫৪ লাখসহ মোট দুই কোটি ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে হাতে আরও এক কোটি ডোজ টিকা মজুত রয়েছে। আগামী ২০-২২ আগস্টের মধ্যে আরও ৫০ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা আসবে। সিনোফার্ম থেকে কোভ্যাক্স ও উপহারসহ মোট এক কোটি ৩৫ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছি বলে জানান তিনি।

‘কোভ্যাক্সসহ বিভিন্ন দেশ যেমন- চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে টিকাপ্রাপ্তির ব্যাপারে চুক্তি হয়েছে। সম্প্রতি চীনের সঙ্গে ছয় কোটি ডোজ টিকার চুক্তি হয়েছে। ফলে আমরা এখন থেকে টিকা পেতেই থাকব’- যোগ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, মোট জনসংখ্যার অনুপাতে ১৩ কোটি মানুষকে ২৬ কোটি ডোজ টিকা দিতে হবে, তাই অনেক টিকা দরকার। আজ চীনের সিনোফার্মের সঙ্গে এ চুক্তির ফলে দেশে ইনসেপ্টার মাধ্যমে টিকার উৎপাদন হবে। তাদের স্থাপনাও রয়েছে, আরও কিছু যদি প্রয়োজন হয় তা সম্পন্ন করে খুব শিগগিরই দেশেই সিনোফার্মের টিকার (ফিল ফিনিশড) উৎপাদন হবে।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, দেশে আর টিকার সমস্যা হবে না। দেশেই টিকার উৎপাদন হবে। সরকার বিদেশ থেকে অনেক টাকা খরচ করে টিকা কেনে। প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে সবাই বিনা পয়সায় টিকা পাচ্ছেন।

তিনি বলেন, করোনার টিকা হলো সংক্রমণ রোধের একটি পদ্ধতি। সবচেয়ে বড় পদ্ধতি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। তিনি দেশের মানুষকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান। সূত্র : জাগোনিউজ

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.