শুক্রবার, ২০ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:৫৭ am

সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাবিতে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিখোঁজের সাতবছর পর ছেলেকে ফিরে পেলেন উচ্ছ্বসিত মা তানোরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত রাসিকের সাবেক কাউন্সিলর মনসুরের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন সেই রুবেল আরও ৭ দিনের রিমান্ডে সিলেবাস সংক্ষিতের দাবিতে রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ পবায় উপজেলা প্রশাসনে ও কাটাখালি পৌরসভায় ভোগান্তি চিত্র নায়িকা পরীমণি পালন করলেন ‘বিবাহ বিচ্ছেদ’ দিন এক দফা দাবিতে রাজশাহীতে নার্সদের মিছিল শেষে মানববন্ধন প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ববাসীর জন্য রহমত : দুধরচকী রাজশাহীতে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ডলার সংকটে বাংলাদেশকে সার দিচ্ছে না সরবরাহকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের নাগরিক সংবর্ধনা বাতিল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বিচারিক ক্ষমতা পেলো সেনাবাহিনী আন্দোলনের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করলেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ বাগমারায় অধ্যক্ষ ও সভাপতির অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি গুজব : আসিফ মাহমুদ একদিনের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা রাজশাহী আসছেন আজ বাংলাদেশ ও ভারত ভিসা জটিলতায় চার যৌথ সিনেমা একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির আটক
আর গান গাইবেন না রেজাউল

আর গান গাইবেন না রেজাউল

বিশেষ প্রতিবেদক : পেশায় তিনি ভ্যানচালক। কিন্তু নেশা হলো গান গাওয়া। মরমি গায়ক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের ভঙ্গিতে গলা ছাড়তেন। কণ্ঠ শুনে লোকজন মুগ্ধ হয়ে বলতেন, রেজাউল করিম (৫২) এ কালের মানবেন্দ্র। এখন আর গান শুনিয়ে মানুষকে মুগ্ধ করবেন না রেজাউল। থেমে গেছে তাঁর কণ্ঠ।

শনিবার বিকালে নাটোরের লালপুর উপজেলার কৃষ্ণরামপুর গ্রামের এক আমবাগানে ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে রেজাউলের। তাঁর বাড়ি পার্শ্ববর্তী রাজশাহীর বাঘা উপজেলার দিঘা গ্রামে। তিন সন্তানের জনক ছিলেন তিনি। তাঁকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তাঁর ছোট ভাই লিলন উদ্দিন।

রেজাউল করিম নজরুল ও রবীন্দ্রসংগীতও গাইতেন। কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ বেতারের রাজশাহী কেন্দ্রে নজরুল সংগীতের শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছিলেন। টেলিভিশনেও গান গেয়েছেন। তিনি ভাল হারমোনিয়ামও বাজাতেন। বাদ্যযন্ত্র দলের সঙ্গে কৃষ্ণরামপুরে বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলেন হারমোনিয়াম বাজাতে। যে বাড়িতে বিয়ে, সেই বাড়ি থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরের একটি আমবাগানে তাঁর লাশ ঝুলতে দেখেন স্থানীয় এক ব্যক্তি।

কনের চাচাতো ভাই মিঠুন কুমার সরকার জানান, শনিবার সকাল থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বাদ্যযন্ত্রের দল বাদ্য বাজিয়েছে। তারপর থেকে রেজাউল করিমকে দেখা যাচ্ছিল না। বিকালে কনে বিদায়ের সময়ও বাজনা বাজানোর জন্য তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরই মধ্যে এক ব্যক্তি বাড়ির পেছনে গিয়ে আমগাছে পাটের কাঁচা আশ দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় রেজাউল করিমকে ঝুলতে দেখেন। এরপর পুলিশে খরব দেওয়া হয়। সন্ধ্যার পর আবদুল পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। রাত ৮টার দিকে যান লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুর রহমান। তখন লাশ নামিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতের কাজ শুরু হয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান রেজাউল করিমের ভাই লিলন উদ্দিন। তিনি বলেন, তাঁর ভাই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন না। তাঁকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। জানতে চাইলে লালপুর থানার ওসি ফজলুর রহমান বলেন, লাশ দেখে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। তবে সেটি নিশ্চিত করে বলা যাবে না। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলেই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে বলা যাবে। এখন তাঁরা ঘটনাটি তদন্ত করছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওসি। আজকের তানোর

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.