শনিবর, ২৭ জলাই ২০২৪, সময় : ০১:২০ pm

সংবাদ শিরোনাম ::
কোটা সংস্কার সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ আরও দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু নগরীতে ছাত্রদলের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, আটক ৫ হতাহতের ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর নাচোলে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে আজিজুর সভাপতি ও আবু সায়েম সম্পাদক সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণে সাবেক ডাকসু নেতা আখতার আটক রাজধানীতে রীরমুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ বৃহস্পতিবার গাজায় ইসরাইল বাহিনীর হামলায় নিহত ৫০ রাবি অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা, দুপুর ১২টায় হল ত্যাগের নির্দেশ অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের সব স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা সরকারি চাকরিতে কোটা আন্দোলন : সারাদেশে সংঘর্ষ, নিহত ৫ বিভাগীয় পর্যায়ে রাজশাহীতে সংবর্ধিত হলেন পাঁচ শ্রেষ্ঠ জয়িতা নাচোল উপজেলা হাসপাতালে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা ছাগলের পিপিআর ভ্যাকসিন ক্রয়ে ৩০ কোটি টাকা লোপাট কোটাবিরোধী আন্দোলকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, আহত ৮০ বাগমারায় এনজিকর্মীর আপত্তিকর ভিডিও ধারণে ৩ জন গ্রেফতার আরইউজের সদস্য হতে আগ্রহীদের কাছ থেকে আবেদন আহ্বান ছাত্রলীগের তিন নেতার পদত্যাগ, ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ চাকরিতে কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশ নাচোলে সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত কোটা বিরোধী আন্দোলনে রাবি শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
নিবন্ধন পেল রঙিন আম আর ফলসা

নিবন্ধন পেল রঙিন আম আর ফলসা

নিজস্ব প্রতিবেদক : একটি রঙিন আম জাতীয় বীজ বোর্ড থেকে নিবন্ধন পেয়েছে। একইসঙ্গে নিবন্ধন পেয়েছে অপ্রচলিত দেশী ফল ফলসা। রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র জাত দুটির নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। এর আগে দীর্ঘ সময় ধরে ফল দুটিকে নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে।

দেশে এই প্রথম ফলসা ফল নিবন্ধন পেল। এটি নাম পেয়েছে ‘বারি ফলসা-১’। আর রঙিন আমটির নাম হয়েছে ‘বারি আম-১৪’। তবে রঙিন আম এর আগেও নিবন্ধন পেয়েছে। নতুন নিবন্ধন পাওয়া জাতটি এসেছিল সৌদি আরব থেকে। আর ফলসাটি ছিল রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রেই।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রাক্তন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা গোলাম মর্তুজা ‘লিয়েনে’ সৌদি আরব গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি আমবাগান নিয়ে গবেষণার কাজ করতেন। ২০১০ সালে তিনি ‘টমিএটকিনস’ জাতের আম গাছের সায়ন (ডাল) সংগ্রহ করে আনেন। দেশে ফিরে তিনি সেটি রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রে দেন। এরপর ১০টি গাছে তার কলম করা হয়।

রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দীন জানান, প্রথমে ১০টি গাছে কলম করা হলেও ৯টি গাছই মরে যায়। অতিযত্নে কেবল একটি গাছকে বাঁচিয়ে রাখা যায়। সেখান থেকে এখন চারটি মাতৃগাছ তৈরি করা হয়েছে। গত ১০ বছর ধরে গবেষণা করা হয়েছে। তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রায় প্রতিবছরই গাছে রঙিন আম পাওয়া গেছে।

আমটি জুলাই মাসের শেষে পাকে। আম পাকার আগেই মেরুন রঙ ধারণ করে। আমের গড় ওজন প্রায় ৫৫০ গ্রাম। এর ভক্ষণযোগ্য অংশ ৭৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ। গড় মিষ্টতা (টিএসএস) ২২ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আমটি লম্বায় ১০ দশমিক ৮৩ সেন্টিমিটার ও প্রস্থ ৮ দশমিক ৪৯ সেন্টিমিটার। খোসা পাতলা ও মাংসল। নিবন্ধন পাওয়া জাতটির ধরণ ‘ইনব্রিড’।
অন্যদিকে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রে প্রায় ২০ বছর বয়সী একটি ফলসা ফলের গাছ আছে। ফলসা বাংলাদেশের একটি অপ্রচলিত ফল। আকারে ছোট টক-মিষ্টি স্বাদের এই ফলটি বাচ্চারা খুবই পছন্দ করে। ফলটি ভিটামিন আর মিনারেলে ভরপুর। গেল ১০ বছর ধরে এই ফলটিরও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। তারপরই নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা হয়। নিবন্ধন পাওয়া ফলসাও ‘ইনব্রিড’। বছরের মে-জুন মাসে এটি গাছে পেকে খাবার উপযোগী হয়। তখন এর রঙ হয়ে ওঠে কাল বা বেগুনি। ফল হয় পাঁচ থেকে ১২ মিলিমিটার ব্যাসবিশিষ্ট।

নতুন এই ফলসা এবং রঙিন আম সারাদেশে চাষ করা সম্ভব। গত ৩১ ডিসেম্বর কৃষি মন্ত্রণালয়ের বীজ অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও জাতীয় বীজ বোর্ডের সচিব নতুন এই আম ও ফলসার নিবন্ধন দেন। স্বার্থক হয় রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীদের গবেষণা ও পরিশ্রম। রোববার নিবন্ধনপত্র রাজশাহী আসে।

ড. আলীম উদ্দীন জানান, আম ও ফলসার নিবন্ধন পাওয়ায় তারা এখন যত বেশি সম্ভব চারা উৎপাদন করবেন। তারপর সরকারি নার্সারিগুলোতে দেবেন। রঙিন আমের চারা এখন চাষিপর্যায়ে খুব বেশি দেয়া সম্ভব না হলেও আগ্রহীদের অন্তত একটি করে তারা দিতে চান। এছাড়া ব্যক্তিমালিকানাধীন বিভিন্ন নার্সারিতেও দু’একটি করে দেয়া হবে, যেন জাতটি ছড়িয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে এটি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে। আর ফলসার প্রচুর চারা করা সম্ভব। এটি দ্রুত ছড়াবে।আজকের তানোর

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.