রবিবর, ১০ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০২:২৭ pm
ডেস্ক রির্পোট : মোবাইল কোর্টের ক্ষমতা কখন, কীভাবে প্রয়োগ করতে হবে সে বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা দিতে সারাদেশের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ দিতে বলেছেন হাইকোর্ট। প্রশিক্ষণের বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের সাথে আলোচনা করতে বলেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) নেত্রকোণায় দুই শিশুকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা সংক্রান্ত মামলার শুনানিকালে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের বিশেষ হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনকে উদ্দেশ্য করে আদালত বলেন, আমি যতটুকু নিউজ পড়ে জেনেছি, নেত্রকোণায় ম্যাজিস্ট্রেট রাজিয়া সুলতানা তার চেম্বারে বসে সাজা দিয়েছেন। এভাবে কি সাজা দিতে পারে? আদালত বলেন, মিস্টার অ্যাটর্নি জেনারেল, সব দিকে আপনাকে দেখতে হবে। আপনি দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল। আইনের কিভাবে প্রয়োগ হচ্ছে। এটা আপনার দেখা উচিত।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, মাইলর্ড আমি তো এ বিষয়ে কিছু জানি না। আদালত বলেন, অন দ্যা স্পটে গিয়ে মোবাইল কোর্ট সাজা দিতে পারে। উনি তো চেম্বারে দিয়েছেন। অ্যাটর্নি জেনারেলও বলেন, ইয়েস স্পটে(যেখানে অপরাধ সংঘটন হয়েছে) সাজা দিতে পারে।
আদালত বলেন, এটা চেম্বারে বসেও করার সুযোগ নাই। থানায় বসেও করার সুযোগ নাই। এ ঘটনা শুধু নেত্রকোণাতে ঘটেনি। পত্র পত্রিকায় দেখি ঘটনা ঘটেছে, হয়তো শাস্তি যোগ্য অপরাধ। কিন্তু দেখা যায়, ঘটনার দুই তিন দিন পরে গিয়ে মোবাইল কোর্ট সাজা দিচ্ছে। এরকম ঘটনা ঘটতেছে। কিছুদিন আগে সম্ভবত বরগুনার এক ব্যক্তিকে দুই তিন পরে গিয়ে মোবাইল কোর্টে সাজা দিয়েছে। মোবাইল কোর্টের স্পিরিট কিন্তু এটা না। এ বিষয়টা আপনি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বলুন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের যে ট্রেনিং হয় সেখানে মোবাইল কোর্টের পাওয়ার কিভাবে প্রয়োগ করতে তা যেন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আপনি মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিবের সাথে কথা বলুন। তখন অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, মাইলর্ড আমি এ বিষয়ে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিবের সাথে কথা বলবো।
এরপর আদালত নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলায় দুই শিশুকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা দেওয়ার ঘটনায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা রাজিয়ার কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে আদেশ দেন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দেওয়ার দাখিলের পর ব্যাখ্যার এক কপি ২৬ আগস্টের মধ্যে হাইকোর্টে দাখিল করতে বলা হয়েছে। আজকের তানোর