শনিবর, ২১ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:০৪ pm

সংবাদ শিরোনাম ::
ঢালাও মামলার কালচার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে : আসিফ নজরুল মোহনপুরে আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সমাবেশ অনুষ্ঠিত মসজিদের বিশেষ আদব ও শিষ্টাচার : হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী মোহনপুরে আ.লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সালাম গ্রেপ্তার, মিষ্টি বিতরণ দুদকের তালিকায় ১০০ ব্যক্তির সম্পদের পাহাড় গড়েছেন যারা আ.লীগ ১৪ দলীয় জোটের নেতা ও মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে ৭৫০ মামলা ঢাবিতে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিখোঁজের সাতবছর পর ছেলেকে ফিরে পেলেন উচ্ছ্বসিত মা তানোরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত রাসিকের সাবেক কাউন্সিলর মনসুরের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন সেই রুবেল আরও ৭ দিনের রিমান্ডে সিলেবাস সংক্ষিতের দাবিতে রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ পবায় উপজেলা প্রশাসনে ও কাটাখালি পৌরসভায় ভোগান্তি চিত্র নায়িকা পরীমণি পালন করলেন ‘বিবাহ বিচ্ছেদ’ দিন এক দফা দাবিতে রাজশাহীতে নার্সদের মিছিল শেষে মানববন্ধন প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ববাসীর জন্য রহমত : দুধরচকী রাজশাহীতে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ডলার সংকটে বাংলাদেশকে সার দিচ্ছে না সরবরাহকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের নাগরিক সংবর্ধনা বাতিল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বিচারিক ক্ষমতা পেলো সেনাবাহিনী
নগরীগে বাড়ি করতে গেলেই চাঁদাবাজ হাজির

নগরীগে বাড়ি করতে গেলেই চাঁদাবাজ হাজির

নিজস্ব প্রতিবেদক : নগরীর দাসপুকুর এলাকায় বাড়ি শুরু করেছেন একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। কিন্তু কাজ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় কতিপয় চাঁদাবাজ। মঙ্গলবার পুলিশের সাহায্যের জন্য রাজপাড়া থানায় ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী ছুটে যান। মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে এসআই মাসুদ রানা ঘটনাস্থলে গেলে চাঁদাবাজরা পালিয়ে যান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী ওই ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, বাড়ি নির্মাণে নানাভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে। টাকা না পেলেই সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজরা রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) দেওয়া প্ল্যানসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র দেখতে চাইছে। কিন্তু আরডিএর নকশা দেখা অজুহাত মাত্র। চাঁদা আদায়ই আসল। তারা তো আরডিএর নকশা দেখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ নয়। চাঁদা না পেলে তারা বলে-‘আপনি অবৈধভাবে বাড়ি করছেন। টাকা না দিলে কাজ বন্ধ করা হবে। আমরা এলাকার লোক। আমাদের কথামতোই বাড়ি করতে হবে।’

ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ক্রমবর্ধমান নগরায়ণের ফলে রাজশাহী মহানগরীতে নতুন নতুন বাড়ি বা ভবন নির্মাণের সংখ্যা বাড়ছে। কেউ বাড়ি করতে গেলেই সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজরা দলবলসহ হাজির হয়। চাঁদা আদায়ের কৌশল হিসাবে তারা বলে- আমাদের কাছ থেকে ইট, বালু, সিমেন্ট, রড ও খোয়া না নিলে বাড়ি নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না।

রাজশাহী কলেজের একজন ভুক্তভোগী শিক্ষক জানান, তারা কয়েকজন শিক্ষক মিলে নগরীর বিল সিমলা এলাকায় একটি বহুতল ভবন করছেন। মাস তিনেক আগে একদল চাঁদাবাজ হাজির হয়। তাদের কাছ থেকে নির্মাণসামগ্রী কিনতে হবে। রাজি না হলে একদিন রাতে তিন চারজন চাঁদাবাজ এসে শ্রমিকদের মারধর করে। পুলিশে লিখিত অভিযোগ দিলে তিনজন চাঁদাবাজকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

এ প্রসঙ্গে আরএমপির রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, নতুন বাড়ি বা ভবন নির্মাণ শুরু হলেই চাঁদাবাজরা বিভিন্ন কৌশলে চাঁদা দাবি করেন, এটা ঠিক। ভুক্তভোগী অনেকে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ক্ষমতাসীন নেতা বা স্থানীয় প্রভাবশালীকে ধরে ভেতরে ভেতরে চাঁদা দিয়ে ঝামেলা মিটিয়ে নেন। ততক্ষণ কেউ পুলিশের কাছে আসে না, যতক্ষণ না তারা চাঁদাবাজদের হামলা বা মারধরের শিকার হন। অভিযোগ পেলে পুলিশ চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করে এবং গ্রেফতার করে। কয়েক মাসে যে কয়টি অভিযোগ পেয়েছি প্রতিটি ঘটনায় চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে পুলিশ শক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে। চাঁদাবাজির বেশ কয়েকটি মামলা তদন্ত করে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিটও দেওয়া হয়েছে।

মে মাসে নগরীর টিবি রোড এলাকায় বাড়ি নির্মাণ শুরু করেন আব্দুস সামাদের ছেলে জুয়েল। খবর পেয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক নেতার নেতৃত্বে একদল চাঁদাবাজ নির্মাণসামগ্রী তারাই সরবরাহ করবে বলে জুয়েলকে জানিয়ে আসে। কিন্তু তাতে রাজি না হওয়ায় ২ মে ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে চাঁদাবাজরা বাড়ির মালিকসহ নির্মাণ শ্রমিকদের ওপর হামলা করে। ওই দিনই রাজপাড়া থানায় অভিযোগ দেন জুয়েল। কিন্তু চাঁদাবাজরা ক্ষমতাসীন দলের হওয়ায় পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। নিরাপত্তাহীনতায় জায়গার মালিক জুয়েল নির্মাণকাজ পুনরায় শুরু করতে পারেনি।

জানা যায়, নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থেকে বিল সিমলাসহ নগরীর দক্ষিণের শহরতলী এলাকায় জমি কিনে অনেকে বাড়ি নির্মাণ করছেন। বহুতল আবাসিক অনেক ভবনও নির্মাণ করা হচ্ছে। ক্রমবর্ধমান নগরায়ণের সুবাদে বিল সিমলা, তেরখাদিয়া, বহরমপুর, উপশহর, দাসপুকুর, পদ্মা আবাসিক এলাকা, সিটি বাইপাস, মোল্লাপাড়া, আমচত্বর, বিসিক প্রভৃতি এলাকায় গজিয়ে উঠেছে একাধিক চাঁদাবাজ গ্রুপ। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ-প্রথমে চাঁদাবাজরা এসে বলে ‘আমরাই ইট, সিমেন্ট, বালু, পাথর দেব।’ কিন্তু প্রতিটি উপকরণের দাম তারা বাজারমূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ দাবি করে। মালামাল না দিয়েও চাঁদাবাজরা অনেক সময় জোর করে টাকা নেয়। এ নিয়ে যন্ত্রণার শেষ থাকে না।

ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নগরীতে ভবন বা বাড়ি নির্মাণকারীরা প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন। বিভিন্ন সড়কের পাশের খালি জায়গায় চাঁদাবাজরা ক্ষমতাসীন সংগঠনের নামে সাইনবোর্ড লাগিয়ে যেনতেন করে দলীয় অফিস বানিয়ে বসে পড়ে। বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত এসব চাঁদাবাজ আশপাশের এলাকায় কে বা কারা বাড়ি বানাচ্ছেন-এসব খবর সংগ্রহ করে আরডিএ অফিস থেকে। নির্মাণকাজ শুরু হলেই চাঁদার দাবিতে দলবেঁধে হানা দেন।

চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে অনেকে ক্ষোভে জমি বিক্রি করে দিচ্ছেন বলেও কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান।

নগরীতে চাঁদাবাজদের উপদ্রুব প্রসঙ্গে মহানগর পুলিশের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চাঁদাবাজদের বড় শেল্টার হলো স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ওয়ার্ড পর্যায়ের কতিপয় নেতা। অনেক সময় ওয়ার্ড কাউন্সিলর বা আওয়ামী লীগ নেতারা সামনে না এলেও চাঁদাবাজির ঘটনাগুলো তারাই পেছন থেকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। এ কারণে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে পারছে না। তবে সুনির্দিষ্টভাবে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে পুলিশ আইনি পদক্ষেপ নিতে পিছপা হয় না।

ইতোমধ্যে এ ধরনের চাঁদাবাজির ঘটনায় কয়েকজন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। আজকের তানোর

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.