রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:৩৩ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মহানগরীর মালোপাড়া এলাকার শ্রী শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ দেববিগ্রহ ঠাকুর মন্দির ও উইল করা সম্পত্তি রক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এর আয়োজন করে মন্দির কমিটি। সংবাদ সম্মেলন থেকে মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতার উইল করা সম্পত্তি রক্ষারও দাবি জানানো হয়।
মন্দিরটির প্রতিষ্ঠাতা মোহন লাল রায়। মারা যাওয়ার আগে ১৯৩৩ সালে তিনি নিজের প্রায় ১৬ কাঠা জমি দেবতার উদ্দেশ্যে দান করেছিলেন। তারপর জমির একাংশে শ্রী শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ দেববিগ্রহ ঠাকুর মন্দির গড়ে তোলা হয়। এখন মন্দিরের সেবাইত দাবি করা একটি পরিবার মন্দিরটি ভাঙার চেষ্টা করছে। তারা মোহন লাল রায়েরই উত্তরসূরি। তাদের দাবি, মন্দিরের জমিটি তাদের পারিবারিক দেবোত্তর সম্পত্তি। তবে মন্দির কমিটি বলছে, মন্দিরের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে।
মন্দির কমিটির সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মোহন লাল রায় উইলে লিখে যান- কোন সেবাইত এই সম্পত্তি দান, বিক্রি বা অন্য কোনভাবে হস্তান্তর করতে পারবে না। কিন্তু মোহন লালের উত্তরসূরি শৈলেন্দ্রনাথ রায় ও দেবেন্দ্রনাথ রায় কৌশলে এই সম্পত্তি নিজেদের নামে করে নেন। তাঁরা আবার মো. মানিক নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে কিছু অংশ বিক্রিও করে দেন। এখন দেবেন্দ্রনাথের ছেলে অশোক রায় বাচ্চু ও তার পরিবারের সদস্যরা মন্দিরটি ভাঙার চেষ্টা করছেন।
তাঁরা সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করতে চান। তবে আইনের আশ্রয় নিয়ে মন্দির কমিটি তা ঠেকানোর চেষ্টা করছে। এ নিয়ে উচ্চ আদালত ওই মন্দির ভাঙ্গার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছেন। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সবশেষ গত ৩১ জুলাই শ্রমিক দিয়ে মন্দিরের মঠের অর্ধেক ভেঙ্গে ফেলেছেন অশোক রায় বাচ্চু। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরে মন্দির কমিটি এ নিয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক পাপন চন্দ্র রায়। এ সময় সহ-সভাপতি সমর চন্দ্র রায়, কোষাধ্যক্ষ রতন কুমার পাল, সহ-সাধারণ সম্পাদক জিকু হালদার, দপ্তর সম্পাদক রাকেশ কুমার দাস, সহ-দপ্তর সম্পাদক বিমান চক্রবর্তী, পুরোহিত অশোক স্যানাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা মন্দির ও দেবোত্তর সম্পত্তি রক্ষায় প্রশাসনের কাছে সহযোগিতার দাবি জানান।
যোগাযোগ করা হলে অশোক রায় বাচ্চুর ছেলে শোভন রায় দাবি করেন, সংবাদ সম্মেলনে যেসব তথ্য দেওয়া হয়েছে তা মিথ্যা। তাঁরা বৈধভাবেই এই জমির মালিক। আর মন্দিরটি তাঁদের পারিবারিক।
এ ব্যাপারে মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মন বলেন, মন্দিরটি নিয়ে অনেক দিন ধরেই ঝামেলা চলছে। কীভাবে মিমাংসা করা যায় সেটি তাঁরা দেখছেন। আজকের তানোর