গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫ হাজার ৯৬২ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৫৮ লাখ ৯৪ হাজার ২৩৫ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ২৯ হাজার ৮৬২ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৫৬৮ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৪০৪ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৪ লাখ ৬২ হাজার ৮০০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৯৭ হাজার ২৯১ জনের। দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৭৮৫ জন।
এদিকে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৭৩ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ১৪৩ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৯৯ লাখ ৫৩ হাজার ৫০১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৩৫৯ জনের।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪২০ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৩১ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ১৭ লাখ ২৫ হাজার ৩৯৯ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ২৫ হাজার ২২৮ জন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৬১ লাখ ৫১ হাজার ৮০৩ জন, রাশিয়ায় ৬৩ লাখ ১২ হাজার ১৮৫ জন, যুক্তরাজ্যে ৫৯ লাখ ২ হাজার ৩৫৪ জন, ইতালিতে ৪৩ লাখ ৫৮ হাজার ৫৩৩ জন, তুরস্কে ৫৭ লাখ ৭০ হাজার ৮৩৩ জন, স্পেনে ৪৫ লাখ ২ হাজার ৯৮৩ জন, জার্মানিতে ৩৭ লাখ ৭৯ হাজার ৭৭৮ জন এবং মেক্সিকোতে ২৮ লাখ ৫৪ হাজার ৯৯২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১১ হাজার ৯৩৬ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ৬০ হাজার ১৩৭ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ২৯ হাজার ৭৪৩ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৮ হাজার ৮৮ জন, তুরস্কে ৫১ হাজার ৫১৯ জন, স্পেনে ৮১ হাজার ৬৪৩ জন, জার্মানিতে ৯২ হাজার ১৮৩ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ৪১ হাজার ৩৪ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি। সূত্র : যুগান্তর