রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০২:৪২ am
নিজস্ব প্রতিবেদক : চাচার ঋণে গ্যারান্টর ছিলেন বাবা। একারণে রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালায় অবস্থিত সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার বৃত্তির চেক আটকে দিয়েছিল। এসংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের পর টাকা পেল স্কুল ছাত্রী।
ভুক্তভোগী ছাত্রী রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুুমালা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির সানজিদা সুলতানা জয়া। পঞ্চম শ্রেণিতে টেলেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। সেই বৃত্তির ৫ হাজার ৯০০ টাকা জমা ছিল স্থানীয় সোনালী ব্যাংক মুন্ডুুমালা হাট শাখায়। ২৯ জুলাই টাকা তুলতে গেলে ব্যাংক ম্যানেজার মিঠুন কুমার দেব বলেন, ‘আমাদের ব্যাংকে তোমার চাচা আতাউর রহমানের পুরোনো ক্ষুদ্র ঋণের বকেয়া রয়েছে। আর সেই ঋণের গ্যারান্টর তোমার বাবা। তাই তোমার বৃত্তির টাকা কেটে ঋণ পরিশোধে জমা করা হবে।’ ম্যানেজারের এই কথা শুনে ব্যাংকেই কান্নায় ভেঙে পড়ে জয়া। এনিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় ও অনলাইনে খবর প্রকাশের পরই বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের নজরে আসে। তানোর উপজেলা প্রশাসন ও রাজশাহী জেলা প্রশাসকের দুষ্টিগোচর হয়।
আজ সোমবার বিকেল ৫টায় তানোর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও কার্যালয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় জয়ার হাতে বৃত্তির নগদ ৫ হাজার ৯০০ টাকা তুলে দেওয়া হয়।
এসময় রাজশাহী আঞ্চলিক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. শরমিন ফেরদৌস চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পংকজ চন্দ্র দেবনাথ, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দীন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিকুর, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম, মুন্ডুমালা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামেল মার্ডি, সোনালী ব্যাংক মুন্ডুুমালা হাটশাখার ম্যানেজার মিঠন কুমার দেব ছাড়াও ভুক্তভোগীর ছাত্রী সানজিদা সুলতানা জয়া ও তাঁর মা জেবুননেসা, তানোর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতান ও সাংবাদিক আসাদুজ্জামান মিঠু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনও পংকজ চন্দ্র বলেন, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর বিষয়টি আমার নজরে আসে। আজ বিকেলে সবার উপস্থিতিতে ব্যাংক কর্মকর্তা ও স্কুল ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। ছাত্রীর হাতে বৃত্তির ৫ হাজার ৯০০ টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে বৃত্তির টাকা হাতে পাওয়ায় খুশি স্কুল ছাত্রী সানজিদা সুলতানা জয়া। সে এই প্রতিবেদককে বলেন, আমার কষ্ট দেখে সাংবাদিকরা আমাকে নিয়ে নিউজ করার পর ইউএনও স্যার তাঁর অফিসে ডেকে আমার বৃত্তির টাকা দিয়েছেন। আজকের তানোর