মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:২৮ pm
ডেস্ক রির্পোট : ভূমি জরিপের পর চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত খতিয়ানে নানা ধরনের ভুল থাকলে তা সংশোধন করার জন্য এসি ল্যান্ডদের (সহকারী কমিশনার, ভূমি) প্রতি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়ে বৃহস্পতিবার পরিপত্র জারি করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
এতে বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা তুলে ধরা হয়েছে। এ সংশোধন ভূমি অফিসের ভাষায় ‘রেকর্ড সংশোধন’ নামে পরিচিত।
ভূমি সচিব মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত ৬ পৃষ্ঠার বিশদ পরিপত্রে খুঁটিনাটি সব বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা রয়েছে। যাতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য প্রতিটি বিষয়ের সঙ্গে আইন ও বিধিবিধানের রেফারেন্স যুক্ত করা হয়েছে।
এর ফলে ভূমি অফিসের কেউ নয়ছয় বুঝিয়ে সেবাপ্রার্থীদের হয়রানি করার সুযোগ পাবে না। এ যাবতকালের সব ধরনের ফাঁকফোকর চিহ্নিত করে পরিপত্রে তা সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে।
এতে রাজস্ব অফিসার কর্তৃক খতিয়ানের ভুল সংশোধন বিষয়ক কতিপয় আইন ও বিধি, খতিয়ানে কী ধরনের করণিক ভুল হতে পারে, খতিয়ানে প্রতারণামূলক অন্তর্ভুক্তি, প্রকৃত ভুল বা যথার্থ ভুল এবং ভুল সংশোধনের পদ্ধতি বিষয়ে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়, জরিপ পরবর্তীকালে সেবাগ্রহীতাদের খতিয়ানের এ ধরনের ভুল যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে সংশোধনে সেবা দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। আইন ও বিধিতে সুষ্পষ্ট ধারণা না থাকায় সর্বশেষ জরিপে প্রস্তুত ও চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত স্বতলিপি বা খতিয়ানে পরিদৃষ্ট ভুল সংশোধনের বিষয়ে এসি ল্যান্ড কর্তৃক জনগণকে প্রার্থিত প্রতিকার প্রদান করা হচ্ছে না মর্মে পরিলক্ষিত হচ্ছে, যা কাম্য নয়।
তাই খতিয়ানের করণিক ভুল, প্রতারণামূলক অন্তর্ভুক্তি এবং যথার্থ ভুল সংশোধন বিষয়ে আইন ও বিধিমালায় উল্লিখিত বিধান এবং জারিকৃত পরিপত্রের নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণের স্বার্থে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে আরও সচেষ্ট হওয়ার পাশাপাশি সম্যক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
পরিপত্রে করণিক ভুলের বিষয়ে ৫টি নীতি অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। যেমন- করণিক ভুল এমন ভুল হিসাবে গণ্য হবে, যা প্রকৃতই সরল বিশ্বাসে ভুলক্রমে বা অসাবধানে হয়েছে বলে বোঝা যাবে, এরূপ ভুলের পেছনে কারও কোনো অসাধু উদ্দেশ্য ছিল- এমন কিছু প্রতিভাত হবে না।
এ ভুলের সঙ্গে অন্য কারও স্বত্ব স্বার্থের সংশ্লিষ্টতা থাকবে না এবং যা সংশোধন করলে অন্য কোনো ব্যক্তির স্বার্থ নষ্ট হবে না। যার নামে খতিয়ান সৃষ্টি করা হয়েছে সংশোধনের পর তার প্রকৃত প্রাপ্যতা অপেক্ষা ভূমির পরিমাণ কম বা বেশি হবে না। তবে সংশোধনের মাধ্যমে তার ভূমিস্বত্বের অস্পষ্টতা অবশ্যই দূর করতে হবে। সূত্র : যুগান্তর