শনিবর, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:২০ pm
ডেস্ক রির্পোট : নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস নাটোর শহরে বাসা ভাড়া নিয়েও হুমকির মুখে সেখানে বসবাস করতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন। গত মঙ্গলবার স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নাটোর জেলা কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে এই কথা বলেন আব্দুল কুদ্দুস। তার বক্তব্যের এই ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
২৬ মিনিটের ভিডিওতে আব্দুল কুদ্দুসকে বলতে শোনা যায়, আমি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ার পর সব সময় নেতাকর্মীদের সঙ্গে থাকতে নাটোরে বাসা ভাড়া নিয়েছিলাম। কিন্তু বাসার মালিককে পিস্তলের ভয় দেখিয়ে আমাকে বিতাড়িত করতে হুমকি দেওয়া হয়।
বাসার মালিক আমাকে বলেন, আমাদের জীবন আগে। তখন আমি বাসা ভাড়ার জামানতের টাকা ফেরত নেই। আমাকে নাটোরে একটি অফিস দেওয়া হয়েছিল কিন্তু আমি সেই অফিসে ঢুকতে পারিনি। মাঝে মধ্যে আমি নাটোরে অফিসে যেতাম।
নাটোরের বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর আসনের এই সংসদ সদস্যের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে বলেন, ‘আমি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ার পর থেকে নাটোরে যেতে পারি না।’
এসব বিষয়ে নাটোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, পাঁচ বারের এমপি দল ক্ষমতায় থাকার সময় নাটোর শহরে সন্ত্রাসীদের ভয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে না পারাটা দুর্ভাগ্যজনক। আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় কারও একার নয়। কিন্তু নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এটা নিজের একার কার্যালয় বানিয়ে ফেলেছেন। এটা কাম্য নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা জেনেছি সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটির বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তালিকা জমা দিয়েছেন। এসব বিষয়ে আমরা নাটোরের চার এমপি, অন্য জনপ্রতিনিধি এবং দলের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। দলীয় হাইকমান্ড নিশ্চয় এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।
পলক আরও বলেন, আব্দুল কুদ্দুস ভাইয়ের কথায় এটা পরিষ্কার বোঝা গেছে যে তার অভিযোগ নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে।
এসব বিষয়ে নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বক্তব্য তিনি শুনেছেন। আমার কাছে কুদ্দুস ভাইয়ের পুরো বক্তব্য আছে।
সেখানে তিনি আমার নাম উল্লেখ করে কোনো কথা বলেননি। তার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটে থাকলে আমাকে জানাতে পারতেন। এখন তিনি কাকে খুশি করার জন্য এসব বলছেন তা আমার বোধগম্য নয়। সূত্র- দ্য ডেইলি স্টার