শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:১১ am
আর কে রতন :
হাঁস লালন-পালন করে দিন মজুর থেকে এখন স্বাবলম্বী হয়েছেন রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বাকশিমইল গ্রামের রুবেল ইসলাম। তিনি ওই গ্রামের মইফুল ইসলামের ছেলে। পূর্বে সে অন্যের কাজ করে সংসার পরিচালনা করেও বর্তমানে হাঁস পালনের মাধ্যমেই আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন এবং সংসারে ফিরেছে স্বচ্ছলতা।
জানা যায়, হাঁস পালনকারী রুবেল ইসলামের বাবা ঠিকমত ভরন পোষণ না দেওয়ার ফলে মাকে নিয়ে আলাদা হয়ে প্রথমে কয়েক জোড়া হাঁস পালন করে অভাবের সংসারে হাল ধরেন। এরপর থেকে তার অনুপ্রেরণা জাগে হাঁস পালনের। মায়ের অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতা কাজে লাগিয়ে বগুড়ার সান্তাহার এলাকা হতে উন্নতজাতের হাঁসের বাচ্চা সংগ্রহ করে ৮-১০ দিন সবয়সী ৩শ হাঁসের ছানা কিনে শুরু করেন হাঁস পালন। এরপর থেকে তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
খামারি রুবেল বলেন, বর্তমানে আমার খামারে প্রতিদিন ক্যাম্বেল জাতের হাঁস প্রায় ২০০-২৫০টি ডিম দেয়। হাঁসের ডিম যখন আকারে ছোট হয়ে আসে বা ডিম দেয়া একেবারে কমে গেলে সেই মা হাঁসগুলো বাজাওে পাইকারি বিক্রয় করে দেয়া হয়। এতে করে গড় মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা লাভ হয়। বর্তমানে হাঁস পালন করে পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক সুখে আছি।
তিনি আরো বলেন, অভাবের কারনে লেখাপড়া করতে পারিনি। ছোট থেকে মানুসের কাজ করে জীবিকা নির্ভর করতাম। পরে দেখলাম প্রতিদিন কাজ হয় না। তাই অন্যকিছু করার ভাবনা থেকে হাঁস পালনের চিন্তা মাথায় আসে। আর বসে না থেকে কম খরচে হাঁসের খামার গড়ে তুলি এবং সহজেই স্বাবলম্বী হই।
মোহনপুর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, রুবেলের মত একজন বেকার যুবক ঘুরে না বেড়িয়ে হাঁস-মুরগী এবং উন্নতজাতের ছাগল পালন করে নিজে স্বাবলম্বী হতে পারে এবং দেশে আমিষের চাহিদা মিটাতে সহায়ক হতে পারে। তার জন্য আমাদের দপ্তরের পক্ষ হতে যাবতীয় পরামর্শ প্রদানের জন্য আমরা সর্বদা প্রস্তুত। আজকের তানোর