রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:২৫ am
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় পাওনা টাকা চাওয়ায় রুহুল আমিন (৪০) নামে এক মুদি ও বিকাশ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার আনুমানিক রাত ১১ টার দিকে উপজেলার মাদারপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বড় ভাই আব্দুল হান্নান (৭১) বাদী হয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গোদাগাড়ী উপজেলার মাদারপুর গ্রামের দাউদ আলীর ছেলে মুদি ও বিকাশ ব্যবসায়ী রুহুল আমিন (৪০) এর কাছে থেকে একই গ্রামের ইসরাইল হোসেনের ছেলে মামলার প্রধান আসামী মতিউর রহমান রুবেল (৩০) বিভিন্ন সময়ে বিকাশের মাধ্যমে নগদ ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা নেয়। এরপর রুহুল আমিন মতিউর রহমান রুবেলের কাছে সে টাকা চাইলে সে আজ দিব কাল দিব বলে কালক্ষেপন করে।
পরে গত মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) আনুমানিক রাত ১১ টার দিকে মতিউর তার গোডাউনের সামনে পাওনা টাকা দিবে বলে রুহুল আমিনকে ডেকে নেয়। এসময় রুহুল আমিন সেখানে গেলে ইসরাইল হোসেনের ছেলে মামলার দ্বিতীয় আসামী সোহেল রানা (২৭) সহ অজ্ঞাতনামা ৪ থেকে ৫ জন দলবদ্ধ হয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
এসময় এক পর্যায়ে মামলার প্রধান আসামী মতিউর বাকি আসামীদের হুকুম দেয় রুহুল আমিন কে মেরে ফেলার জন্য। এই হুকুম পাওয়া মাত্র দ্বিতীয় আসামী সোহেল তার হাতে থাকা ধারলো চাপ্পর দিয়ে রুহুল আমিনের বাম হাতের কব্জির উপর কোপ মেরে রক্তাক্ত জখম করে। এমন সময় রুহুল আমিন চিৎকার করলে আসামীগন তাকে খুন করার হুমকি দেয় ও ভয়ভীতি দেখায়।
পরে রক্তাক্ত অবস্থায় রুহুল আমিন দৌড়ে নিজ বাড়িতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। বর্তমানে সে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনা শুনে তাৎক্ষনিকভাবে গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাহুলে পৌঁছে রুহুুল আমিনের রক্তমাখা লুঙ্গি, ১টি বাটন মোবাইল ফোন, ১ জোড়া স্যাভেল ও ঘটনাস্থলের পাশে ড্রেন থেকে ১টি চাপ্পর উদ্ধার করেন।
গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর থেকেই রুবেলসহ জড়িতরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। জড়িতদের আটক করতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। আজকের তানোর