ডেস্ক রির্পোট : আর্জেন্টিনার মার্থা অর্গারিচ যখন জীবনের প্রথম কনসার্টে পিয়ানো বাজিয়ে বিখ্যাত হয়েছিলেন, তখন তাঁর বয়স মাত্র ৮ বছর! মার্থার মতো এমন প্রতিভার দেখা মেলে যুগে যুগে। চট্টগ্রামের শিশু উম্মে মাইসুনকে এই দলের বললে খুব বেশি বাহুল্য হবে না। মাত্র ৮ বছর বয়স থেকে সে রপ্ত করেছে ব্রিটিশ উচ্চারণে সাবলীল ইংরেজি বলার দক্ষতা।
নিজে শিশু হলেও সে এখন শিশুদের জন্য তৈরি করছে ইংরেজি ভাষা শেখার মজাদার সব ভিডিও। ইতিমধ্যে ফেসবুক আর ইউটিউবে রয়েছে তার হাজারো অনুসারী।
ফেসবুকের তিন লাখ আর ইউটিউবের প্রায় এক লাখ অনুসারী মাইসুনকে এর মধ্যেই দিয়েছেন শিশু কনটেন্ট নির্মাতার খেতাব। বয়স এখন ১১ হলেও কেউ কেউ তাকে ইতিমধ্যে ডাকতে শুরু করেছেন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার বা চেঞ্জমেকার। রবি টেন মিনিটস স্কুলের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে কনিষ্ঠ অনলাইন শিক্ষক হিসেবেও নাম রটেছে তার। অ্যাওয়ারনেস-৩৬০ নামের বিশ্বব্যাপী পরিচিত তরুণদের একটি সংগঠন গত বছরের জুলাই মাসে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিস্ময়কর শিশুদের নিয়ে একটি ফেসবুক লাইভ করেছিল। এই আয়োজনে বাংলাদেশ থেকে আমন্ত্রিত ছিল উম্মে মাইসুন।
মাইসুনের জন্ম চট্টগ্রামে। মাইসুনের বাবা সাংবাদিক আশরাফ উল্লাহ জানিয়েছেন, মাইসুন বাংলা মাধ্যমের শিক্ষার্থী। নগরের বাওয়া স্কুলের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ছে। তার ইংরেজির সঙ্গে পরিচয় পেপা পিগ আর টিভির বিভিন্ন কার্টুন দিয়ে। পরে ইউটিউব আর ইংরেজি সিনেমাও তার ইংরেজি শেখায় ভূমিকা রাখে।
আশরাফ উল্লাহ জানান, গত বছর জুনের মাঝামাঝি রবি টেন মিনিটস স্কুলের ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে ‘কীভাবে ইংরেজিতে নিজেকে পরিচয় করাতে হয়’ শিরোনামে একটি ভিডিওর মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি পায় মাইসুন। সে ভিডিওটি বর্তমানে ৬৫ লাখ বার দেখা হয়েছে।
মাইসুনের সঙ্গে কথা হতেই সে জানায়, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ডিজিটাল মাধ্যমে তার যাত্রা শুরু হয়। তখন দেশ-বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার সময় ইংরেজিতে ছোট ছোট ভিডিও ব্লগ বানাত। ইংরেজি ভাষার প্রতি অগাধ আগ্রহ থাকলেও মাইসুন বাংলা বই পড়ে নিয়মিত। শুধু তাই নয়, দিনের কয়েক ঘণ্টা ছবি এঁকে আর নানা ধরনের হস্তশিল্প বানিয়েও কাটে মাইসুনের সময়।
ইংরেজি শেখানোর বাইরে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি টিভি বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছে এ খুদে তারকা। আর কয়েক দিন পর খুদে লেখক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ ঘটবে মাইসুনের। এ নিয়ে মাইসুনের বাবা আশরাফ উল্লাহ জানান, সম্প্রতি ছোটদের ইংরেজি শেখার একটি ও একটি গল্পের বই লেখার কাজ শেষ করেছে। বই দুটি প্রকাশিত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। বড় হয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্নে বিভোর মাইসুনের শখ বিশ্বভ্রমণ ও বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করা। আজকের পত্রিকা