শনিবর, ২১ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:২৮ am

সংবাদ শিরোনাম ::
দুদকের তালিকায় ১০০ ব্যক্তির সম্পদের পাহাড় গড়েছেন যারা আ.লীগ ১৪ দলীয় জোটের নেতা ও মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে ৭৫০ মামলা ঢাবিতে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিখোঁজের সাতবছর পর ছেলেকে ফিরে পেলেন উচ্ছ্বসিত মা তানোরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত রাসিকের সাবেক কাউন্সিলর মনসুরের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন সেই রুবেল আরও ৭ দিনের রিমান্ডে সিলেবাস সংক্ষিতের দাবিতে রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ পবায় উপজেলা প্রশাসনে ও কাটাখালি পৌরসভায় ভোগান্তি চিত্র নায়িকা পরীমণি পালন করলেন ‘বিবাহ বিচ্ছেদ’ দিন এক দফা দাবিতে রাজশাহীতে নার্সদের মিছিল শেষে মানববন্ধন প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ববাসীর জন্য রহমত : দুধরচকী রাজশাহীতে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ডলার সংকটে বাংলাদেশকে সার দিচ্ছে না সরবরাহকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের নাগরিক সংবর্ধনা বাতিল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বিচারিক ক্ষমতা পেলো সেনাবাহিনী আন্দোলনের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করলেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ বাগমারায় অধ্যক্ষ ও সভাপতির অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি গুজব : আসিফ মাহমুদ একদিনের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা রাজশাহী আসছেন আজ
গানই জীবন গানেই জীবিকা নূর মোহাম্মদ বাউল ফকিরের

গানই জীবন গানেই জীবিকা নূর মোহাম্মদ বাউল ফকিরের

ডেস্ক রির্পোট : চোখে কালো ফ্রেমের চশমা। মুখ ভর্তি দাড়ি। মাথায় গোল টুপি। দুই হাতের ছয় আঙুলে বড় বড় রঙিন পাথরের আংটি। গায়ে সাদা পাঞ্জাবি। ঘাড়ের ওপর সাদা গামছা। হাতের মুঠে ধরে আছেন বাদ্যযন্ত্র খঞ্জনি। গাইছেন ‘বাড়ির পাশে আরশিনগর, সেথায় এক পড়শি বসত করে, আমি একদিনও না দেখিলাম তাঁরে’ কিংবা ‘এমন সমাজ কবে গো সৃজন হবে/যেদিন হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান জাতি গোত্র নাহি রবে।’

লালন ফকিরের গানই যেন নিজের গান হয়ে ধরা দিয়েছে নূর মোহাম্মদ বাউল ফকিরের (৮১) জীবনে। গানই তাঁর জীবন, গানই তাঁর জীবিকা। তবে দেড় বছর ধরে মহামারি করোনায় নিজ এলাকাতেই দুর্বিষহ দিন পার করছেন তিনি। তাঁর বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলার শিবনদীর বিলকুমারী-তীরবর্তী গোকুল গ্রামে।

নূর ফকিরের তিন ছেলে ও তিন মেয়ে। ছেলে-মেয়েরা বিয়ে করে নতুন সংসার পেতেছেন। নূর থাকেন তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে। বুড়ো হয়ে গেলেও হাত থেকে খঞ্জনি নামাননি। গান করেন, হাট–বাজেরে, জনসমাগমস্থলে। বরেন্দ্র অঞ্চলে বাউল নূর হিসেবে তাঁর সুপরিচিতি রয়েছে। আগে প্রায়ই মাজার কিংবা গ্রামের কোনো অনুষ্ঠানে তাঁর ডাক পড়ত। গান গাইতেন প্রাণের টানে। এর  বিনিময়ে খুশি যে যা দিতেন, তিনি তাই নিতেন।

বাউল নূর বলেন, সেই ৬৪ বছর আগের কথা। তখন তাঁর ১৫ বছর বয়স। গ্রামে তো দূর, শহরেও ছিল না আধুনিক যন্ত্রের ছোঁয়া। তখন গ্রামে গ্রামে বসত জারি–সারি, কিচ্ছা, আলকাপসহ নানা ধরনের গানের আসর। দাদা কিংবা বাবার সঙ্গে গিয়েছেন এসব আসরে। গান শুনেই তাঁর মনে ধরে যায়। সেই ভালো লাগা থেকেই নিজেও গাইতে শুরু করেন।

নূর ফকির বলেন, ছোটকাল থেকেই লালনের গান পছন্দ তাঁর। তাই লালন সাঁইয়ের গান গেয়েই জীবন কাটিয়ে দেবেন বলে ঠিক করেন। আজও দরাজ গলায় লালনগীতি ধরেন তিনি। যেখানে কয়েকজন মানুষের জটলা দেখেন, সেখানে গিয়েই গানে টান দেন। খুশি হয়ে যে যা দেন, তাতেই সন্তুষ্ট থাকেন। তবে বর্তমানে করোনার কারণে ঘরবন্দী হয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন। তাতে কী, ঘরে বসেই আপন মনে গান করেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নূর ফকির এই বয়সেও গান করেন। এটা আশ্চর্যের বিষয়। মানুষটার প্রাণশক্তি আছে। গানের প্রতি তাঁর ভালোবাসা অনকে গভীর। তবে এই বুড়ো বয়সে অসুস্থ হলে না খেয়ে থাকতে হয়। লকডাউন কিংবা বৃষ্টি হলে বাইরে যেতে পারেন না তিনি। লোকজনকে গান শোনানো হয় না, টাকাও উপার্জন হয় না। সূত্র : আজকের পত্রিকা

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.