বিনোদন ডেস্ক : গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীরকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে শনিবার (২৪ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে তাঁর মরদেহ নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তাঁর ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব। সেখান থেকে নেওয়া হবে শিল্পীর নিজ এলাকা খিলগাঁওয়ে। স্থানীয় তালতলা কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হবে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের এই শব্দ–সৈনিকের। বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত রাখা হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। তার আগে বেলা ১১টার দিকে খিলগাঁওয়ের পল্লীমা সংসদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল শুক্রবার রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৫ জুলাই মধ্যরাত থেকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন ফকির আলমগীর। ১৮ জুলাই চিকিৎসকেরা তাঁকে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দেন। গতকাল রাত সাড়ে নয়টার দিকে করোনায় আক্রান্ত চিকিৎসাধীন এ শিল্পীর হার্ট অ্যাটাক হয় বলে জানিয়েছেন তাঁর ছেলে মাশুক আলমগীর রাজিব।
ফকির আলমগীর স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম শিল্পী। তারও আগে থেকে তিনি শ্রমজীবী মানুষের জন্য গণসংগীত করে আসছিলেন। স্বাধীনতার পর পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে দেশজ সুরের মেলবন্ধন ঘটিয়ে বাংলা পপ গানের বিকাশে ভূমিকা রেখেছেন ফকির আলমগীর।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তার কণ্ঠের বেশ কয়েকটি গান দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। এরমধ্যে ‘ও সখিনা’ গানটি এখনও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। ১৯৮২ সালের বিটিভির ‘আনন্দমেলা’ অনুষ্ঠানে গানটি প্রচারের পর দর্শকের মধ্যে সাড়া ফেলে। কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি গানটির সুরও করেছেন ফকির আলমগীর।
তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠন ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা, গণসংগীত চর্চার আরেক সংগঠন গণসংগীতশিল্পী পরিষদের সাবেক সভাপতি।
সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে সরকার তাকে একুশে পদক দিয়ে সম্মানিত করে। সূত্র : আজকের পত্রিকা