শুক্রবার, ২০ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:১৬ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের বাজারগুলোতে ঐতিহ্যবাহী ফজলি আমের ভোক্তা না থাকায় দামে ধস নেমেছে। অপরদিকে নতুন জাতের আম্রপালির চাহিদা তুঙ্গে। আম্রপালি আমের মিষ্টতা ও অন্যান্য গুণাবলি থাকায় এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ফজলি আম বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকা মণ দরে। তবুও মণ ধরা হচ্ছে ৫২ কেজিতে।
রোববার (১৮ জুলাই) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিভিন্ন আম বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি ক্রেতা আসলেও দাম অত্যন্ত কম। ফজলি আম বিক্রি করতে আসা হাদিনগর এলাকার মিনু জানান, তিনি সকালে এক ভ্যান আম নিয়ে এসেছেন। ক্রেতারা দাম বলছে না। দুপুরের দিকে মাত্র সাড়ে ৯শ টাকা মণ দাম বলেছে। কিন্তু সেই দামে বিক্রি করলে তার প্রায় ৩০০ টাকা মণপ্রতি লোকসান হবে। তাই আম নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এসময় তিনি বলেন, ‘আমরা সারা বছর খাব কী?’
মুসলিমপুর এলাকার জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমার বাড়ি থেকে কানসাট বাজারে চার মণ আম আনতে প্রায় ৬০০ টাকা খরচ হয়। বাজারে ফজলি আমের দাম নিম্নে এক হাজার টাকা ও ঊর্ধ্বে ১৪শ টাকা মণ। সবমিলিয়ে এক সাইকেল আমে অর্থাৎ চার মণ আমে প্রায় দুই হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে।’
তিনি বলেন, মূলত আম্রপালির কারণেই ফজলি আমের বাজারে ধস নেমেছে। একই কথা বললেন শ্যামপুর এলাকার আমিরসহ প্রায় বেশিরভাগ ফজলি আম ব্যবসায়ী।
তারা জানান, এক মণে প্রায় ৫০-৫২ কেজি আম দিতে হচ্ছে। যদিও নিয়ম অনুযায়ী ৪০ কেজি দেয়ার কথা। আমচাষি ইমাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি চার মণ আম্রপালি আম নিয়ে এসেছি। প্রতি মণ আম ৩৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সারাদেশে আম্রপালির প্রচুর চাহিদা রয়েছে।’
সিলেট থেকে আসা আম ব্যাপারী শরীফ আলী বলেন, বাজারে ফজলি আমের চাহিদা কমে গেছে। দাম কম হওয়ায় অন্য বছরের মতো ব্যবসা এবার হচ্ছে না। কানসাট বাজার আম আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক উমর ফারুক টিপু জানান, বরেন্দ্র অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে আম্রপালিসহ বেশ কিছু নতুন জাতের আম উৎপাদন হচ্ছে। সে আমসহ পাশের জেলার কয়েকটি উপজেলা থেকে কানসাটে আম আসায় ফজলি আমের দাম অন্যান্য বছরের তুলনায় একেবারে অর্ধেকে নেমে এসেছে। তার মতে, নতুন জাতের আমের প্রতি চাহিদা বেড়েছে ভোক্তাদের।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি বিভাগের উপপরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, আম্রপালি গত তিন বছর আগে বাজারে এসেছে। ছোট ছোট গাছে প্রচুর পরিমাণে আম ধরে। আকারে ছোট হলেও খেতে অত্যন্ত সুসাদু। বিশেষ করে উচ্চবিত্তদের চাহিদার খোরাক জোগাচ্ছে এই আম্রপালি। সে কারণেই আম্রপালির দাম ফজলি আমের চেয়ে কিছুটা বেশি।
প্রসঙ্গত, এ বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জে আড়াই লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আজকের তানোর