শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৭:১৮ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভায় নির্বাচনের আগে ব্যাপক সহিংসতা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল মেয়র প্রার্থী মুক্তার আলীর বিরুদ্ধে। মামলায় অভিযুক্ত হয়ে নির্বিঘ্নে প্রচারণা চালাতে সক্ষম হয়েছেন। আবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েও জয়ের মুখ দেখলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা হলেও মুক্তার আলী সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, রাজশাহী-৬ (চারঘাট এবং বাঘা উপজেলা) আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম আড়ানী পৌরসভার নির্বাচনে তাকে সমর্থন করেছেন। তিনি আরও বলেন, এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন তিনি পাননি কারণ সেটা টাকার বিনিময়ে অন্যত্র বিক্রি হয়েছিল।
একইসঙ্গে পরাজিত আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী শহীদুজ্জামান জানিয়েছেন, প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম এবং দলের অধিকাংশ স্থানীয় নেতাদের তিনি কার্যত পাশে পাননি।
তবে শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেছেন, নির্বাচনি আচরণবিধিতে নিষেধাজ্ঞার কারণে তিনি দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কোনো কাজ করতে পারেননি। তিনি নির্বাচনের একদিন আগে আড়ানীতে যান। নির্বাচনের দিন ভোট দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা একজন রাজনৈতিক কর্মীর জন্য অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক যে নির্বাচনি বিধিনিষেধের কারণে মন্ত্রী হয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করা সম্ভব হয় না।’ সে সময় তিনি নৌকা প্রতীকের জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন।
শনিবার অনুষ্ঠিত রাজশাহীর তিনটি পৌরসভা নির্বাচনে দুটিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এবং একটিতে বিদ্রোহী প্রার্থী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। সেই একটি পৌরসভা বাঘা উপজেলার আড়ানী। সেখানে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মুক্তার আলী পাঁচ হাজার ৯০৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শহীদুজ্জামান পেয়েছেন চার হাজার ৩০০ ভোট। আর বিএনপির প্রার্থী মো. তোজাম্মেল হক পেয়েছেন এক হাজার ৩১২ ভোট। মোট নয়টি ভোটকেন্দ্রের ছয়টিতেই জয় পেয়েছেন মুক্তার আলী।
এমনকি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম যে কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন সেই কেন্দ্রেও তিনি জয় লাভ করেছেন। সেখানে তিনি পেয়েছেন এক হাজার ১৯৫ ভোট। জয়গুন নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের শহীদুজ্জামান মাত্র ৭৭টি ভোট পেয়েছেন। সবগুলো কেন্দ্রের মধ্যে এখানেই সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছেন তিনি।