শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:৫৯ am
আর কে রতন, বিশেষ প্রতিবেদক :
নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলা ও রাজশাহীর তানোর উপজেলা সীমান্তে চৌবাড়িয়া হাটের নিকটেই ভারশো ইউনিয়নে অবস্থিত আন্দাশুরা পদ্মবিল। সেখানে গেলে দেখা মিলবে চোখজোড়ানো ছেয়ে যাওয়া বাহারি রঙের পদ্মফুল। এটি পদ্মবিল নামে পরিচিত। বিলটিতে প্রাকৃতিক ভাবে জন্ম নেয়া লাল, গোলাপি ও সাদা পদ্মফুলের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য আকর্ষণ করে দর্শনার্থীদের।
আর এই মনোরম সুন্দর্য্য দৃশ্য উপভোগ করার জন্য প্রতিদিন ভ্রমণ পিপাসুদের পদচারণায় দিন দিন বাড়ছে ভীড়। বর্ষা মৌসুমে প্রাকৃতিক ভাবে জন্ম নেয়া পদ্মফুল সৌন্দর্য্য বাড়ায় নওগাঁর আন্দাশুরা বিলের। পদ্মবিল নামে পরিচিত বিলটি জুড়ে লতা-পাতা, আবার কোথাও কচুরিপানা। এরই মাঝে ভেসে উঁকি দিচ্ছে বাহারি রঙের অগণিত পদ্মফুল।
স্থানীয়রা জানায়, ১৯৯৫ সালের পর থেকে বর্ষাকালে এই বিলে পদ্মফুল ফুটতে শুরু করে। বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে লাল, গোলাপ ও সাদা রঙে প্রকৃতি প্রেমিদের স্বাগত জানায় এই জলজ ফুলের রানী পদ্মফুল। সৌন্দর্যের এই বাহার দেখতে ভিড় জমায় দর্শনার্থীরা।
শুধু সৌন্দর্যই নয় বর্যা মৌসুমে বিলের সংলগ্ন কয়েকটি গ্রামের স্বল্প আয়ের অসংখ্য পরিবার জীবিকা নির্বাহ করে এই ফুল বিক্রি করে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজায় পদ্মফুলের চাহিদা থাকায় ভোর থেকে দুপুর পযর্ন্ত বিল হতে ফুল সংগ্রহ করে রাজশাহী ও নওগাঁ শহর বাজারে বিক্রি করা হয়ে থাকে। বিল এলাকায় মূল্য কম থাকলেও শহরে এক একটি ফুল ৫ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এতে দৈনিক একজন মানুষ ৫ থেকে ৬’শ টাকা উপার্জন করছেন ফুল বিক্রি করে। তবে, লকডাউনে কারণে বর্তমানে ফুল বিক্রি আগের তুলনায় কম সরবরাহ হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সামিউল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন অনেক মানুষ দল বেঁধে পদ্মফুল দেখার জন্য পদ্মবিলে আসছেন। তারা নৌকা ভাড়া করে বিলের সৌন্দর্য্য উপভোগ করছেন। স্থানীয়রাও ভ্রমণ পিপাসুদের সহযোগিতা করে অর্থনৈতিক লাভবান হচ্ছে। হিন্দু ধর্মালম্বীরা বিভিন্ন পূজা-পার্বণে পদ্মফুলের ব্যবহার করেন। তাই এলাকার শ্রমজীবী মানুষ ফুল ও ফল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
মান্দার আন্দাশুরা পদ্মবিলে ঘুরতে আসা স্কুল ছাত্রী অনিকা মন্ডল বলেন, দীর্ঘদিন থেকে স্কুল থাকায় কোথাও ঘরতে যেতে পারি না। তাই অনেক দিন পর স্কুল ছুটির জন্য বিলে পদ্মফুল দেখতে এসেছি। মনোমুগ্ধকর অপরুপ প্রাকৃতিক সুন্দর্য্য দেখে আমি ভীষণ আনন্দিত।
ভারশো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুমন হোসেন এ প্রতিবেদককে জানান, আন্দাশুরা পদ্মবিল নামে এলাকায় ও বাহিরে পরিচিত। বিলে প্রাকৃতিকভাবে ফুটা পদ্মফুল দেখতে প্রতিদিন অনেক দর্শণার্থী ভীড় জমাচ্ছে।
এই স্থানটিতে দর্শণার্থীদের বসার জায়গা ও টয়লেটসহ আরও আকর্ষণীয় করার লক্ষে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান চেয়ারম্যান সুমন। আজকের তানোর