শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:০৪ am
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌরসভায় এক নারী কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রচারণায় বাধাঁ ও তাকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী। বাড়ি পৌর এলাকার সাদিপুর মহল্লায়। নাম বিলকিস বানু (৪৫)। ‘জবাফুল’ মার্কা নিয়ে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন তিনি।
অভিযুক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মুন্ডুমালা উত্তরপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। তিনি আফসার মিয়ার স্ত্রী। নাম রাফিয়া বেগম। তিনি একই এলাকায় ‘আনারস প্রতীক’ নিয়ে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এঘটনায় রাফিয়া বেগম ও তার ৩ ছেলেসহ ৮ জনকে অভিযুক্ত করে গত (১৭ জানুয়ারী) রোববার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে প্রচারণার অংশ হিসেবে পৌরসভার ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী বিলকিস বানু ও তার কর্মী সমর্থকরা জবাফুল প্রতীকের পক্ষে মুন্ডুমালা উত্তরপাড়ায় ভোট চাইতে যাই। এ সময় বিলকিস বানুর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রাফিয়া বেগম ও তার ছেলেসহ কর্মী সমর্থকরা দেখতে পেয়ে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করতে থাকেন। তাদের এমন খারাপ ব্যবহারের জবাব দেয়ায় বিলকিস বানু ও তার কর্মী সমর্থকের ওপর হামলা করে প্রচারে বাধাঁ দেয়া হয়।
এছাড়া রাফিয়ার হুকুমে ওই এলাকা থেকে তৎক্ষণাত তাদের তাড়িয়ে দেয় তার লোকজন। এতে নিরুপাই হয়ে ভোটের প্রচার ছেড়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিলকিস বানু। এব্যাপারে অভিযুক্ত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী রাফিয়া বেগমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।