সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:৪৫ am
ডেস্ক রির্পোট : জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও কারখানা শ্রমিকদের জীবন নিরাপদ হয়নি। প্রতি বছর কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে অসংখ্য শ্রমিকের জীবন যায়। প্রতিটি দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন হয়। প্রতিবেদন আসে তাতে কিছু সুপারিশও থাকে। কখনো জনগণ সেটা জানতে পারে, কখনো তা গোপনই থেকে যায়। তবে বাস্তবায়ন হয় না বললেই চলে। প্রায় ক্ষেত্রেই আইনের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে যায় দোষীরা। তাই থামছে না অগ্নিকাণ্ড, থামছে না মৃত্যুর মিছিল।
রোববার গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী গেল ১৫ বছরে অগ্নিদুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৩১৭ জনের। আহত হয়েছেন ১২ হাজার ৩৭৪ জন। এর মধ্যে একটি বিশাল অংশই শ্রমিক। ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর ইতিহাসের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আশুলিয়ার তাজরীন ফ্যাশনস লিমিটেডের ১১৭ জন পোশাক শ্রমিক আগুনে পুড়ে মারা যান, আহত হন দুইশ’র বেশি শ্রমিক। প্রতিটি দুর্ঘটনায় একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষের মৃত্যুতে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয় দারিদ্র্যপীড়িত পরিবারগুলোতে।
জিএম কাদের বলেন, বিল্ডিং কোড মেনে তৈরি হয় না ভবন, কারখানা তৈরিতে মানা হয় না সুনির্দিষ্ট নীতিমালা। অগ্নিপ্রতিরোধে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি থাকে না কারখানায়। তদারকি নেই, আর দায়িত্বশীলদের জবাবদিহিতা নেই বললেই চলে। এ কারণেই কারখানায় আগুন লাগলে রেহাই মেলে না শ্রমিকদের। তাই অগ্নিকাণ্ড কমাতে ও শ্রমিকদের জীবন বাঁচাতে সরকারকে এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
জাতীয় শ্রমিক পার্টির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল : সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রুহের মাগফিরাত কামনায় জাতীয় শ্রমিক পার্টির উদ্যোগে দলের কাকরাইলস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কুরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় শ্রমিক পার্টির সভাপতি একেএম আশরাফুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন-জাতীয় পার্টির চেয়ারমানের উপদেষ্টা ড. মো. নূরুল আজহার শামীম, অধ্যাপক ড. গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম-মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মো. হুমায়ুন খান, সুলতান মাহমুদ, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, মো. ইব্রাহীম আজাদ, হেলাল উদ্দিন, মাহমুদ আলম, শেখ মোহাম্মদ শান্ত প্রমুখ। সূত্র : যুগান্তর