শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:৩২ am
নিজস্ব প্রতিবেদক : লকডাউনে রাজশাহীতে পশু কেনাবেচা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন খামারিরা। তবে, ভারতীয় গরু না আসায় রাজশাহীর দেশীয় গরুর উৎপাদন ও চাহিদা দুটোই বেড়েছে।
জেলার মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের রায়ঘাটি গ্রামের মাহাবুর রহমান প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে লালনপালন করছেন হলেস্টিম ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গরু। পৌরসভার এলাকায় বৃহৎ এ গরুর নাম রেখেছেন ‘পৌর রাজ’।
‘পৌর রাজ’র প্রতিদিনের খাবার তালিকায় থাকে মশুর, খেসারি, খৈল, ছোলা, গম, চাল, আঙ্গুর, আপেল, কলা ও ঘাস। নিয়মিত এ গরুর গোসল ও যত্ন সহকারে লালন-পালন করায় গরুটির ওজন এখন প্রায় ৩০ মণ। গরুটির বুক ১০৫ ইঞ্চি, হানা ৭০ ইঞ্চি, লম্বা ৯১ ইঞ্চি। ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে কোরবানির জন্য প্রস্তুত এ ‘পৌর রাজ’ গরুকে দেখতে আসেন আশপাশের এলাকার অসংখ্য মানুষ।
গরুর মালিক মাহাবুর রহমান বলেন, বর্তমানে আমি গরুর জন্যে যা খাবার ব্যবস্থা করি তার জন্যে ব্যয় হয় ১৫০০-১৬০০ টাকা। ব্যাবসায়ীরা গরুর দাম বলতে শুরু করেছে ৮-৯ লাখ টাকা। আমি দাম চাচ্ছি ১৫ লাখ টাকা। গরুটি কেনার আগ্রহীরা সরাসরি অথবা ০১৭৩৫-৩৩২৭৯৬ নাম্বারে ফোন করে যোগাযোগ করতে পারেন।
মোহনপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার সানওয়ার হোসেন জানান, মোহনপুর উপজেলায় বিভিন্ন জাতের গরু রয়েছে। খামারীরা তাদের গরুর ছবি ও ভিডিও মাধ্যামে ক্রেতাদের আগ্রহী করে অনলাইনে গরু বিক্রি করতে পারেন। এতে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আমরা উপকৃত হবো।
আজকের তানোর