শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:৩৩ am
এসকে স্বপন, মোহনপুর :
কোরবানী ঈদ সামনে রেখে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কেশরহাটে মাইকিং করে গরুহাট বসাতে চাইলেও শুধু একটি গরু দেখা গেছে। করোনা মহামারির আগে এই হাটটি কোরবানীর গরু ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য অন্যতম হাট ছিল।
সম্প্রতি দেশে করোনা মহামারির কারণে সরকারি নির্দেশনায় গরুহাট বন্ধ হয়ে থাকে। এহেন পরিস্থিতিতে শনিবার (১০ জুলাই) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অল্প পরিসরে পশুহাট বসানোর জন্য নির্দেশনা পাই কর্তৃপক্ষ। ফলে হাটের সংশ্লিষ্ট ইজারাদার মাইকিং করে প্রচার চালিয়েও ১ জন বিক্রেতা পেলেও ক্রেতা মেলেনি।
কিন্তু (১০ জুলাই) শনিবার কেশরহাটে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বহু ক্রেতার উপস্থিত থাকেলও হাট ছিল প্রায় গরু শূন্য। পুরো হাট নিয়ে কেবল একটি ষাড় গরু দেখা গেছে। এসময় জেলার বাগমারা উপজেলার রক্ষিতপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম নামে মাত্র একজন বিক্রেতা গরু ঘিরে রাখলে কয়েকজন ক্রেতার আনাগোনা দেখা যায়।
কেশরহাটে পশু কিনতে এসে তানোরের আতিকুর রহমান বলেন, প্রতি বছর এই হাট থেকে কোরবানীর পশু ক্রয় করে থাকি। সেই জন্য এবারে কোরবানি গরু ক্রয় করতে হাটে এসে দেখি মাত্র একটি গরু উঠেছে। তাই পরের সপ্তাহে কিনবো। আজ ফেরৎ যাচ্ছি।
গরু ব্যবসায়ী হাশেম আলী জানান, সারা বছর ঠুকঠাক ব্যবসা চললেও কোরবানীর সময় ভালো ব্যবসা হওয়ার আশা করি। কিন্ত করোনার মহামারি জন্য সরকারি বিধিনিষেধের ফলে হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি কম হওয়ায় ব্যবসা ভালো হয়নি। করোনা বেড়ে যাওয়ায় এ বছরও একই অবস্থা।
কেশরহাটের প্রধান ইজারাদার সাইদুর রহমান জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে হাট বন্ধ ছিল। স্বাস্থ্যবিধি নেমে স্বল্প পরিসরে পশুহাট বসানোর অনুমতি পাওয়ায় হাট কমিটি পশু আমদানীর জন্য ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা মাইকিং করেও কাল পুরো হাট মিলে মাত্র একটি গরু আমদানী হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পরিবেশ খারাপ হওয়ার কারণে ভয়ে হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা আসছে না। এসময় যে হাটে হাজার হাজার গরু আমদানী হতো। সেই হাটে আজ কেবল একটি গরু। পশু আমদানী না হওয়ায় তাদের অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আজকের তানোর