বুধবা, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:১৭ am

সংবাদ শিরোনাম ::
ওপারের কলকাতায় তারকাদের ‘মধ্যমণি’ শাকিব জুলুমের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার! লেখক, রাজু আহমেদ ৩০ ডিসেম্বর শুরু হবে বিপিএল প্রাইভেটকার চাপায় চীনে ৩৫ জন পথচারী নিহত নগরীতে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৫ বাগমারায় দরিদ্র নারীদের সঞ্চয়ের টাকা উদ্ধার করলেন ইউএনও নগরীতে আরডিএ’র বিরুদ্ধে পুলিশ কর্মকর্তার মামলা মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষা দিতে এসে কারাগারে ছাত্রলীগ কর্মী তিন উপদেষ্টার অপসারণ দাবিতে ব্যানার নিয়ে রাস্তায় মহিলা নেত্রী মৌগাছি কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন সরকার ১০-১২ বছর ক্ষমতায় থাকতে চাইছে? ইউনূসকে বিএনপির টার্গেট বঙ্গভবন থেকে মুজিবের ছবি সরানো ঠিক হয়নি : রিজভী আফগানিস্তানের কাছে বাংলাদেশের সিরিজ হার, ছক্কায় জয় দুর্গাপুরে ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ দুইজন আটক রাজশাহী কলেজে ছাত্রলীগ ‘ভয়ংকর রূপে’ ফেরার বার্তা, তদন্ত কমিটি তানোরে শিক্ষকদের একত্রকরণে কার্যকর কমিটি গঠন ও মতবিনিময় নগরীতে বিস্ফোরক মামলার ১৪ আসামি গ্রেপ্তার তানোরে ব্র্যাক সমন্বিত উন্নয়ন কর্মসূচি-বারিন্দ প্রকল্পের আয়োজনে কর্মশালা রাজশাহীতে কৃষকবান্ধব সেচ নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে মানববন্ধন বাগমারায় আ.লীগ নেতার বিল দখল, জলাবদ্ধতায় জমিতে চাষাবাদ অনিশ্চিত
ফোন দিলেই বাইসাইকেলে চা নিয়ে হাজির খালেক

ফোন দিলেই বাইসাইকেলে চা নিয়ে হাজির খালেক

আর কে রতন :
স্থানীয় বাজারে একটি চা স্টলেই ছিলো আয়ের একমাত্র উৎস। কিন্তু মহাসড়ক প্রশ^স্ত করার ফলে শেষ স্বম্বল দোকানের জায়গা হারিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম অভাব অনটনের মধ্য উৎকণ্ঠায় দিন কাটছিল আব্দুল খালেকের। পরে চা বিক্রির জন্য তার নির্দিষ্ট কোনো দোকান না থাকায় নিরুপাই হয়েই ফেরি করে চা বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তিনি। তবে, তার ফেরি করে চা বিক্রি ধরণ অনেকটাই ভিন্ন। তিনি চা বিক্রি করে বেড়ান বাইসাইকেলে করে।

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বাকশিমইল গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল খালেক। করোনা মহামারির মধ্যে যখন বাজারের অধিকাংশ চা দোকান বন্ধ। তখন তিনি ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ নিয়ে উপজেলা সদরের বিভিন্ন অলি-গলিতে চা বিক্রি শুরু করেন। তার চায়ের চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। কারো চায়ের প্রয়োজন হলে তাকে ফোন করা মাত্র বাইসাইকেলে চায়ের ফ্ল্যাক্স নিয়ে দ্রুত সেখানে হাজির হয়ে যান খালেক।

আব্দুল খালেক জানান, তার পরিবারে সদস্য সংখ্যা ৪ জন। চা বিক্রি করে প্রতিদিন সব খরচ বাদ দিয়ে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা আয় হয়। ওই টাকায় সংসারের যাবতীয় খরচ বহণ করতে হয়। বাইসাইকেলে করে চা বিক্রি করেন কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুল খালেক এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘যারা আমার চা পান করেন এদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ দোকানি ও বিভিন্ন ব্যবসায়ী। তারা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফেলে চা পান করতে কোথাও যেতে পারেন না। তাই আমাকে ফোন করা মাত্রই আমি তাদের দোকানে গিয়ে চা দিয়ে আসি। এতে তাদের সময় বেঁচে যায়, আর আমার কিছু টাকাও আয় হয়।

মোহনপুর বাজার বণিক সমতির সভাপতি মুদি ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, আমার মুদির দোকানে পাইকারি সেল করে থাকি। মালামাল ক্রয় করতে অনেক মানুষ আসে। দোকান রেখে চা পান করতে যাওয়ার সময় হয় না। তাই ফোন করলে খালেক ভাই চা দিয়ে যান। এতে আমার সময় কম লাগে। তাছাড়া খালেক ভায়ের চায়ের মানও অনেক ভাল।

উপজেলার বাকশিমইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল মোল্লা বলেন, বাইসাইকেলে করে চা বিক্রি করে বেড়ানো এটি মোহনপুর বাজারে একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। ফোন দিলেই খালেক চা নিয়ে হাজির হন। তার এক কাপ চায়ের দাম ৫ টাকা হলেও খেতে ভালোই লাগে।

মোহনপুর গালস্ ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, খালেক একজন পরিশ্রমী মানুষ। তিনি বাইসাইকেলে করে বাজারের বিভিন্ন জায়গায় চা বিক্রি করেন। তার চায়ের চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। এমন উদ্যোগে আমি ব্যক্তিগত ভাবে তাকে সাধুবাদ জানাই। আজকের তানোর

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.